এডেন উপসাগরে একটি বাণিজ্যিক জাহাজে ইয়েমেনের সশস্ত্র হুতি বিদ্রোহীদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় দুই নাবিক নিহত হয়েছেন। গত অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলার প্রতিবাদে ইরানপন্থি ইয়েমেনি এই গোষ্ঠীর আক্রমণ শুরু করার পর এই প্রথম প্রাণহানির ঘটনা ঘটল। বুধবার (৬ মার্চ) ব্রিটিশ ও মার্কিন কর্মকর্তারা এই তথ্য জানিয়েছেন। খবর আলজাজিরার।
বুধবার ইয়েমেনের এডেন বন্দরের উপকূল থেকে প্রায় ৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে ট্রু কনফিডেন্স নামের কার্গো জাহাজে হামলা হয়। গ্রিসের মালিকানাধীন জাহাজটি বার্বাডোসের পতাকাবাহী। হামলায় জাহাজে আগুন ধরে যায়। ইতিমধ্যে এই হামলার দায় স্বীকার করেছে হুতিরা।
হুতিদের এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরাসরি প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইয়েমেনে অবস্থিত ব্রিটিশ দূতাবাস। এক এক্সবার্তায় যুক্তরাজ্যের দূতাবাস লিখেছে, কমপক্ষে দুজন নিরীহ নাবিক মারা গেছেন। এই ঘটনা দুঃখজনক হলেও আন্তর্জাতিক জাহাজে হুতিদের বেপরোয়া ক্ষেপণাস্ত্র হামলার অনিবার্য ফল। তাদের হামলা থামাতে হবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) দুজন মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, অ্যান্টিশিপ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় জাহাজে থাকা নাবিকের মধ্যে দুজন নিহত এবং ছয়জন আহত হয়েছেন।
এর আগে বুধবার যুক্তরাজ্যের মেরিটাইম ট্রেড অপারেশনস (ইউকেএমটিও) এজেন্সি খবর দিয়েছিল, জাহাজটি আর নাবিকদের নিয়ন্ত্রণে নেই। তারা জাহাজটি রেখে চলে এসেছেন।
মূলত গত অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরু হলে হামাসের প্রতি সমর্থন জানায় হুতি বিদ্রোহীরা। তাদের সমর্থনের অংশ হিসেবে নভেম্বর থেকে এডেন উপসাগর ও লোহিত সাগরে ইসরায়েলগামী ও ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন জাহাজে হামলা করে আসছে তারা। এরপর এই তালিকায় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের জাহাজের নাম যুক্ত করে ইরানপন্থি গোষ্ঠীটি।
তাদের হামলার ভয়ে বেশিরভাগ জাহাজ কোম্পানি গুরুত্বপূর্ণ এই দুই নৌপথ এড়িয়ে গন্তব্যে পাড়ি দিচ্ছে। এতে পরিবহন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে পশ্চিমারা।
লোহিত সাগরে হামলা ঠেকাতে হুতিদের নিশানা করে যৌথ অভিযান পরিচালনা করেছে মার্কিন ও ব্রিটিশ বাহিনী। যৌথ অভিযান ছাড়াও প্রায় প্রতিদিন হুতিদের বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এত এত হামলা করেও এখনো হুতিদের থামাতে পারছে না পশ্চিমারা।
মন্তব্য করুন