বেশ কয়েক মাস পর ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে নতুন আরেকটি চুক্তির হওয়ার খবর আসছে। ইতিমধ্যে এই চুক্তির আলোচনায় অগ্রগতির খবর পাওয়া গেছে। এমনকি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পর্যন্ত দুপক্ষের মধ্যে নতুন চুক্তির একটি সময়সীমা দিয়েছেন। বর্তমানে চুক্তিটি পর্যালোচনা করে দেখছে হামাস। তবে এ নিয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি।
হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে নতুন চুক্তি সম্পাদনে আলোচনা চলছে। এতে মধ্যস্থতা করছে কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্র। এ বিষয়ে অধিকতর আলোচনার জন্য কাতার সফরে গেছে ইসরায়েলি একটি প্রতিনিধিদল।
চুক্তি আলোচনা সম্পর্কে জানাশোনা রয়েছে এমন ব্যক্তিদের বরাত দিয়ে এবারের চুক্তির মূল মূল বিষয়ের কথা জানিয়েছে কাতারভিক্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
আলজাজিরা আরবি বিভাগের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দুপক্ষের মধ্যে ছয় সপ্তাহ পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি হতে পারে। এ সময় হামাসের হাতে বন্দি ৪০ ইসরায়েলির মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগারে আটক ৪০০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হবে।
অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেম থেকে আলজাজিরার সাংবাদিক উইলেম মার্কস বলেছেন, তাদের মধ্যে নারী, শিশু, বয়স্ক পুরুষ এবং যাদের চিকিৎসা সম্পর্কিত জটিলতা রয়েছে তারা থাকবেন। গাজায় যেন আরও বেশি মানুষ অবাধে চলাচল করতে পারে সে জন্য ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সদস্যদের পুনর্বিন্যাস করা হবে।
তিনি বলেন, চুক্তির আওতায় প্রতিদিন আট ঘণ্টা পর্যন্ত আকাশপথে নজরদারি বন্ধ রাখতে পারে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। এমনটা আমরা এর আগের চুক্তির সময়ও দেখেছি। ওই সময় বন্দিবিনিময়ের স্থান থেকে গোয়েন্দা ড্রোন সরিয়ে নিয়েছিল ইসরায়েল।
এ ছাড়া যুদ্ধবিরতির সময়ে গাজায় ত্রাণবাহী ট্রাকের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ানো হবে। সূত্রের বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, গাজার হাসপাতাল ও বেকারি মেরামত করা হবে। প্রতিদিন ৫০০টির মতো ট্রাক ত্রাণসহায়তা নিয়ে গাজায় প্রবেশের অনুমতি পাবে।
গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় ২৫০ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসকে নির্মূল এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। গত নভেম্বরে সাত দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিনিময়ে ১১০ ইসরায়েলি বন্দিকে হামাস মুক্তি দিলেও এখনো তাদের হাতে ১৩০ জনের মতো বন্দি আছেন।
মন্তব্য করুন