গাজায় অব্যাহতভাবে হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। দেশটির এ হামলায় বরাবরই সমর্থন দিয়ে আসলেও এবার তাদের কড়া ভাষায় শাসিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। তিনি বলেন, ইসরায়েল ৭ অক্টোবরকে অন্যদের প্রতি অমানবিকতার লাইসেন্স হিসেবে ব্যবহার করতে পারে না। বৃহস্পতিবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বুধবার তেলআবিবে এক সংবাদ সম্মেলনে ব্লিংকেন বলেন, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল ভয়ংকরভাবে অমানবিকতার শিকার হয়েছে। এরপর থেকে প্রতিদিন ইসরায়েলি জিম্মিরা অমানবিকতার শিকার হচ্ছে। তবে এ ঘটনা অন্যদের প্রতি অমানবিক হওয়ার লাইসেন্স দেয় না।
ব্লিংকেন বলেন, গাজার সিংহভাগ মানুষের গত ৭ অক্টোবরের হামলা সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। সেখানকার অনেক পরিবারের বেঁচে থাকা ইসরায়েলি সহায়তার ওপর নির্ভর করে। তারাও আমাদের মতো পরিবার, আমারদের মা, বাবা, ছেলে, মেয়ের মতো। এসব পরিবারও ভালো জীবিকা ও সন্তানদের স্কুলে এবং স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে চায়। এটাই তাদের প্রকৃত পরিচয়।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী দেশটিকে যখন কড়া ভাষায় শাসালেন ঠিক তখনই দেশটি যুক্তরাষ্ট্র থেকে বড় দুঃসংবাদ পেয়েছে। দেশটির জন্য বিপুল অর্থসহায়তার একটি প্রস্তাব বাতিল করেছে মার্কিন পার্লামেন্ট। মঙ্গলবার কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে (হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস) এ প্রস্তাব বাতিল করা হয়।
রয়টার্স জানিয়েছে, মঙ্গলবার নিম্নকক্ষে রিপাবলিকান পার্টি ইসরায়েলকে ১৭ দশমিক ছয় বিলিয়ন ডলার অর্থ সহায়তার প্রস্তাব উত্থাপন করে। এরপর প্রতিনিধি পরিষদের ২৫০ সদস্য এটির বিপক্ষে ভোট দেন। অন্যদিকে এটির পক্ষে ভোট দেন ১৮০ জন সদস্য।
ভোটাভুটির পর স্পিকার মাইক জনসন বলেন, এই বিল আনার জন্য এখন সঠিক সময় নয়। ডেমোক্র্যাট পার্টির অন্যতম জ্যেষ্ঠ নেতা ও এমপি রোজা ডিলাউরো এ ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। এখন ইসরায়েলকে সহায়তা দিলে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক মিত্রদের কাছে বিষয়টি নেতিবাচক হবে বলেও মনে করেন তিনি।
তিনি বলেন, এটি ঠিক যে, আমদের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। তবে আমাদের অন্য মিত্র ও শত্রুরা আমাদের পদক্ষেপ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিয়মানুসারে প্রেসিডেন্ট কোনো দেশকে অর্থ বা সামরিক সহায়তা দিতে চাইলে সেটির প্রস্তাবনা কংগ্রেসে লিখিত আকারে পাঠাতে হয়। এরপর আইনপ্রণেতারা বিষয়টি পর্যালোচনা করে সম্মতি বা আপত্তি জানান। তাদের আপত্তি থাকলে কংগ্রেসে ওই প্রস্তাবনা বাতিল হয়ে যায়।
মন্তব্য করুন