ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে প্রায় চার মাস ধরে যুদ্ধ চলছে। এত দিন পার হলেও এই যুদ্ধ থামার কোনো লক্ষণ নেই। উল্টো গাজায় দিন দিন হামলা আরও জোরদার করছে ইসরায়েলি সেনারা। তবে হামলা জোরদারের সঙ্গে সঙ্গে হামাসের হাতে বন্দি ইসরায়েলিদের মুক্ত করাতে নেতানিয়াহু সরকারের ওপর চাপও বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের নতুন আরেকটি চুক্তি সম্পাদনের বিষয় বার বার আলোচানায় আসছে। আগের চুক্তির মতো এবারের চুক্তিতেও মধ্যস্থতা করছে কাতার। এই লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও মিসরের গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন কাতারের কর্মকর্তারা।
আলজাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-এর পরিচালক উইলিয়াম বার্নস, ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধান ডেভিড বার্নিয়া ও মিসরের গোয়েন্দাপ্রধান আব্বাস কামেলের সঙ্গে বৈঠক করবেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি। শনি বা রোববার তাদের এই বৈঠক হবে। আলোচনায় হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের বন্দিবিনিময় এবং যুদ্ধবিরতির বিষয় থাকবে।
গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় ২৫০ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসকে নির্মূল এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। গত নভেম্বরে সাত দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিনিময়ে ১১০ ইসরায়েলি বন্দিকে হামাস মুক্তি দিলেও এখনো তাদের হাতে ১৩০ জনের মতো বন্দি আছেন।
দিন যত সামনে এগোচ্ছে ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্ত করাতে নেতানিয়াহু সরকারের ওপর চাপ বাড়ছে। গত সোমবার নেসেটে ইসরায়েলি অর্থ কমিটির বৈঠক চলার সময় ২০ জনের একটি দল সংসদ সদস্যরা যেন বন্দিদের মুক্ত করতে আরও ভূমিকা রাখেন সে দাবিতে সেখানে ঢুকে পড়েন। এর মাধ্যমে বন্দিদের মুক্তি নিয়ে ইসরায়েলি সমাজে বিভাজন প্রকট আকার ধারণ করছে বলেই ইঙ্গিত দেয়।
এমন পরিস্থিতিতে মার্কিন ও ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, হামাসের সঙ্গে একটি নতুন চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে ইসরায়েল। দুই মাসের যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে বন্দিদের মুক্ত করাতে চায় তেল আবিব। তবে গাজায় যুদ্ধের অবসানের কোনো কথা সেখানে বলা হয়নি। কিন্তু হামাস বলছে, যুদ্ধ বন্ধ না হলে কোনো চুক্তি করবে না তারা।
মন্তব্য করুন