কয়েক দফায় আলোচনার পর ব্যর্থ হয়েছেন ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব। এরমধ্যে নতুন করে আবারও বন্দি বিনিময়ের প্রস্তাব করেছে ইসরায়েল। বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম চ্যানেল ১৩ জানিয়েছে, নতুন করে আবারও বন্দি বিনিময়ের প্রস্তাব করছে দেশটি। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় কাতারের কাছে এ প্রস্তাব করেছে দেশটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন করে এ প্রস্তাবে দেশটি গাজা থেকে নিজেদের সেনা উঠিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব করেছে। এ ছাড়া গাজায় আরও মানবিক সহায়তা পাঠানোর অনুমতি দিতে চেয়েছে দেশটি।
দ্বিতীয় শর্তে ইসরায়েল জানিয়েছে, বন্দি বিনিময়ের আওতায় হামাসকে ইসরায়েলের নারী মুক্তি দিতে হবে। এমনকি তাদের হাতে থাকা ইসরায়েলি নারী সেনা ও বন্দিদের মরদেহ ফেরত দিতে হবে। এসব শর্ত মানলে ইসরায়েল এসব এলাকা থেকে সেনাদের সরিয়ে নেবে।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ইসরায়েলের এ প্রস্তাবটি হামাসের প্রত্যাখ্যান করার সম্ভাবনা রয়েছে। কেননা দলটি জানিয়েছে, যুদ্ধ পুরোপুরি শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা জিম্মিদের মুক্তি দেবে না।
এর আগে গত ২২ ডিসেম্বর বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধ শেষ করার ওপর জোর দিয়ে হামাস জানিয়েছে, গাজায় যুদ্ধের শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা আর কোনো জিম্মিকে মুক্তি দেবে না। তারা গাজায় পুরোদমে যুদ্ধবিরতি চায়।
ইসরায়েলের দাবি, চলতি মাসের শুরুতে প্রথম যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে দুই হাজারের বেশি হামাসের সেনাকে হত্যা করেছে। এ ছাড়া এ সময়ে ১০০ জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এমনকি গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে জাতিসংঘে রেজুলেশন প্রস্তাব করা হয়েছিল।
গাজায় দ্বিতীয় দফায় গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য সম্প্রতি মিসরের রাজধানী কায়রোতে আলোচনা হয়েছে। যদিও বৈঠক থেকে কোনো সিদ্ধান্তের ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি দুটি পক্ষ। ফলে সমাধান ছাড়াই বৈঠকটি শেষ হয়েছে।
এক বিবৃতিতে হামাস জানিয়েছে, ফিলিস্তিনের জাতীয় সিদ্ধান্ত হলো গাজায় পুরোপুরি যুদ্ধ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত জিম্মি অথবা বন্দিদের নিয়ে কোনো আলোচনা নয়।
হামাসের এমন অনড় অবস্থানে কঠিন বিপাকে পড়েছে ইসরায়েল সরকার। গাজায় জিম্মিদের উদ্ধারে মিলিটারি অপারেশন চালিয়েছে ইসরায়েল, তবে এতে হিতে বিপরীত হয়েছে তাদের জন্য। সর্বশেষ হামাসের যোদ্ধা মনে করে তিন জিম্মিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি সেনারা। এরপর তেলআবিবে ওই নিহতদের স্বজনরাও বিক্ষোভ করেছে। এতে নতুন করে চাপে পড়েছে নেতানিয়াহু প্রশাসন।
মন্তব্য করুন