টানা দুই মাস পেরিয়েছে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধ। এ যুদ্ধে ইসরায়েলকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে ইরান। চলমান এ যুদ্ধের মধ্যে মস্কো সফরে গেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। সফরে তিনি গাজার গণহত্যা নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি গাজায় গণহত্যার জন্য পশ্চিমাদের দায়ী করেন। তিনি বলেন, পশ্চিমাদের আসকারা পেয়ে গাজায় ইসরায়েল গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে।
মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের কর্তৃত্ব বাড়াতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরব সফরের পরের দিন ক্রেমলিন ইরানের প্রেসিডেন্টকে অভ্যর্থনা জানিয়েছে। পুতিন এ সফরে গাজা ও ইউক্রেন যুদ্ধ, রাশিয়ার সহযোগিতা এবং ওপেকে তেলের দাম বাড়ানো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
আলোচনায় পুতিন বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের অবস্থা নিয়ে আলোচনা এই মুহূর্তে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষত ফিলিস্তিনের সাথে সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা।
অনুবাদকের মাধ্যমে রাইসি বলেন, ফিলিস্তিনি ও গাজায় যা ঘটছে তা অবশ্যই গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ। তিনি বলেন, সবচেয়ে মর্মান্তিক বিষয় হলো এসব কর্মকাণ্ডে ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমারা সহযোগিতা করছে।
ইসরায়েলের ফিলিস্তিনে আক্রমণের পর থেকে হামাসের পাশে রয়েছে ইরান। অন্যদিকে গাজায় সংঘাত থামাতে উভয়পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতার জন্য আগ্রহের কথা জানিয়েছে রাশিয়া।
আলজাজিরার কূটনৈতিক সম্পাদক জেমস বায়েস বলেন, ইসরায়েল ফিলিস্তিনে আক্রমণ শুরুর পর থেকে দেশটির বিপক্ষে আগের চেয়ে কঠোর অবস্থানে দাঁড়িয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। যুদ্ধের আগে উভয় দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল দেশটির। এমনকি এ যুদ্ধের মধ্যে মস্কো সফরে গেছে হামাসের প্রতিনিধি দল। এ ছাড়া দেশটি এখনো এ যুদ্ধের মধ্যস্থতার জন্য সম্পৃক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছে।
গাজায় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) স্থল অভিযান শুরু নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেন, ইসরায়েল যদি গাজা উপত্যকায় স্থল অভিযান পরিচালনা করে, সে ক্ষেত্রে বেসামরিক নিহতের সংখ্যা ‘অগ্রহণযোগ্য’ পর্যায়ে পৌঁছাবে।
পুতিন বলেন, ‘আবাসিক এলাকায় ভারী অস্ত্রশস্ত্রের ব্যবহার খুবই জটিল একটি ব্যাপার এবং এর পরিণতিও হবে মারাত্মক। কারণ এই পরিস্থিতি (গাজায়) স্থল অভিযান পরিচালিত হলে সাধারণ বেসামরিক নিহতদের সংখ্যা ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছবে এবং তা কোনোভাবেই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না।’
মন্তব্য করুন