ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধের মধ্যে প্রায় দুই মাস স্থগিত থাকার পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে দায়ের করা দুর্নীতি মামলার বিচারকাজ পুনরায় শুরু হয়েছে। গতকাল সোমবার (৪ ডিসেম্বর) জেরুজালেমের একটি আদালতে এই মামলার বিচারকাজ শুরু হয়েছে। খবর নিউইয়র্ক টাইমসের।
গত অক্টোবরের শুরুতে অবরুদ্ধ গাজা থেকে ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতকামী সংগঠন হামাসের নজিরবিহীন হামলার জেরে ইসরায়েলি আদালতে জরুরি নয় এমন মামলার শুনানি স্থগিত করেন দেশটির বিচারবিষয়ক মন্ত্রী ইয়ারিভ লেভিন। তবে তিনি বলেছেন, স্থগিতাদেশের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। তাই আদালতের অধিকাংশ স্বাভাবিক কার্যক্রম আবার শুরু হতে পারে। এরপরই গতকাল সোমবার নেতানিয়াহুর দুর্নীতি মামলার বিচারকাজ শুরু হলো।
তবে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, সোমবারের শুনানিতে অংশ নেননি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী। আগামী বসন্তে তিনি সশরীরে আদালতে সাক্ষ্য দিতে পারেন।
২০১৯ সালে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে জালিয়াতি, ঘুষ ও বিশ্বাস ভঙ্গের অভিযোগে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়। এসব মামলা কেস-১০০০, কেস-২০০০ ও কেস-৪০০০ নামে পরিচিত।
কেস-১০০০-এ নেতানিয়াহু ও তার স্ত্রী সারার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সুবিধা দেওয়ার বিনিময়ে প্রখ্যাত হলিউড প্রযোজক আরনন মিলচান ও অস্ট্রেলিয়ান ধনকুবের ব্যবসায়ী জেমস প্যাকারের কাছ থেকে শ্যাম্পেন ও সিগারেটসহ দামি উপহার নেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে।
ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ প্রমাণিত হলে নেতানিয়াহুর সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড অথবা জরিমানা হতে পারে। আর জালিয়াতি ও বিশ্বাসভঙ্গের দায়ে তার তিন বছরের জেল হতে পারে।
তবে মামলায় আনা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইসরায়েলের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি প্রধানমন্ত্রী। তার দাবি, তাকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরাতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে এসব মামলা দায়ের করা করেছেন বিরোধীরা।
মন্তব্য করুন