গাজায় হামাসের শর্ত মেনে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল। দুটি দেশই জানিয়েছে তারা যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিময়ে সম্মত হয়েছে। ফলে গাজায় যুদ্ধবিরতি হলে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ কী করবে, তা জানিয়েছে দলটি। বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বুধবার (২২ নভেম্বর) হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, গাজায় চার দিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হলে তা হিজবুল্লাহও পালন করবে। আজ সকাল ১০টা থেকে এ যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। তবে এ যুদ্ধবিরতিতে আলোচনার অংশ নয় হিজবুল্লাহ।
হিজবুল্লাহর একটি সূত্র আলজাজিরাকে জানায়, তারা ততক্ষণ শান্ত থাকবে যতক্ষণ ইসরায়েল এ চুক্তিকে সম্মান করবে। যুদ্ধবিরতির এ সময়ে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল থেকে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে কোনো ধরনের হামলা চালানো হবে না। তবে শর্ত ভঙ্গ করলে তার কঠিন জবাব দেবে দলটি।
ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় প্রতিদিন ছয় ঘণ্টা করে গোয়েন্দা ড্রোন উড়ানো বন্ধ রাখবে ইসরায়েল ও তাদের মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন উপ-জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন ফিনার সিএনএনকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
গত ৩ নভেম্বর রয়টার্স জানিয়েছিল, ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের হাতে বন্দি জিম্মিদের খোঁজে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ড্রোন মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন এসব ড্রোন এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে গাজার আকাশে উড়ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুই মার্কিন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, জিম্মিদের অবস্থান শনাক্তে সহায়তা করার জন্য গাজার আকাশে গোয়েন্দা ড্রোন মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আরেক কর্মকর্তা বলেছেন, গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে এসব ড্রোন গাজার আকাশে উড়ছে।
বেশ কয়েক দিনের দরকষাকষির পর বুধবার সকালে গাজা উপত্যকায় কাতারের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ার কথা জানায় ইসরায়েল ও হামাস। এরপর হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য মুসা আবু মারজুক আলজাজিরাকে বলেছেন, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই যুদ্ধবিরতি গাজার সব এলাকায় কার্যকর হবে। আগামীকাল সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত গাজার আকাশে ইসরায়েলের কোনো যুদ্ধবিমান বা সাধারণ বিমান চলাচল করবে না।
চুক্তি অনুযায়ী, হামাসের হাতে জিম্মি ৫০ বন্দির বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি ১৫০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল। এ ছাড়া গাজা উপত্যকায় চার দিন সব ধরনের সামরিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখবে ইসরায়েল। পাশাপাশি ২৩ লাখ মানুষের এই অঞ্চলে মানবিক, চিকিৎসা সহায়তা ও জ্বালানি নিয়ে শত শত ট্রাক প্রবেশের অনুমতি দেবে ইসরায়েলি বাহিনী।
মন্তব্য করুন