গাজা শাসনের ক্ষমতা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিতে চায় ইসরায়েল। তবে এ জন্য শর্ত মানতে বলেছে তারা। নির্দিষ্ট শর্ত মানলেই গাজার শাসনক্ষমতা তাদের হাতে তুলে দেওয়ার কথা বলেছে জেরুজালেম। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
টাইমস অব ইসরায়েলের সঙ্গে আলাপকালে ইসরায়েলের এক কর্মকর্তা বলেন, তারা যুক্তরাষ্ট্রের ইচ্ছা অনুসারে গাজার শাসনক্ষমতা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়ার ধারণাকে অস্বীকার করে না।
তিনি বলেন, গত সপ্তাহে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মন্তব্যেই ইংগিত দেয় যে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে (মাহমুদ আব্বাস প্রশাসন) গাজা শাসনের জন্য উল্লেখযোগ্য সংস্কার করতে হবে।
গাজায় ইসরায়েল হামাসকে নির্মূল করতে সফল হলে সেখানকার শাসনক্ষমতা কার হাতে যাবে না নিয়ে পরিকল্পনার জন্য ইসরায়েলের প্রতি অনুরোধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আগাম ঝুঁকির কথা জানিয়ে দেশটি বলছে, এতে ব্যর্থ হলে ইসরায়েল ছিটমহলে আবদ্ধ হয়ে পড়বে।
ইসরায়েল এখনও গাজার ভবিষ্যৎ শাসনব্যবস্থা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছেন, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী একটি অনির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সেখানকার শাসনকাজ ও সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে।
বিষয়টির সাথে সম্পর্কিত একটি সূত্র জানিয়েছে, ইসরায়েলের কর্মকর্তারা বিষয়টি নিয়ে দিনের পর তিন কাজ করে যাচ্ছে। এ নিয়ে তারা একটি যৌথ সংলাপের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছে।
এর আগে সংবাদমাধ্যম এবিসির এক সাক্ষাতকারে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, যুদ্ধ শেষ হলে গাজার নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবেন তারা। তিনি বলেন, ইসরায়েলের হাতে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য গাজার সব ধরনের নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকবে। আমাদের হাতে নিরাপত্তার দায়িত্ব না থাকায় হামাস ইসরায়েলে অকল্পনীয় মাত্রায় বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আসছে।
নেতানিয়াহুর এমন বক্তব্যের ব্যাপারে বিবিসির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক জেমেরি বাউন বলেন, গাজার নিরাপত্তার দায়িত্বের মাধ্যমে ইসরায়েল সেখানে দখলদারিত্ব করতে পারে।
ইসরায়েল গাজার নিরাপত্তার কথা বললেও তারা দেশটিতে তারা আগ্রাসন চালিয়ে মানবিক সংকট বাড়িয়ে চলেছে। জাতিসংঘ বলছে, ইসরায়েলের হামলায় গাজা শিশুদের কবরস্থানে পরিণত হচ্ছে। সংস্থাটির মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, প্রতি ঘণ্টা পার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গাজায় মানবিক অস্ত্রবিরতির প্রয়োজনীয়তা আরও বেশি বাড়ছে।
মন্তব্য করুন