অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল। এত করে গাজায় মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ইসরায়েলের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়েছেন পোপ ফ্রান্সিস। তিনি গাজা উপত্যাকায় ইসরায়েলি হামলায় আহতদের দ্রুত চিকিৎসা দিতে এবং এ অঞ্চলে মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। রোববার (১২ নভেম্বর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ভ্যাটিক্যান সিটিতে সাপ্তাহিক অ্যাঞ্চেলাস প্রেয়ারে পোপ ফ্রান্সিস বলেন, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যকার যুদ্ধের কারণে দুর্ভোগ বাড়ছে এবং এ অঞ্চলের পরিস্থিতি ক্রমাগত অবনতি হচ্ছে।
তিনি বলেন, গাজায় হামলায় আহতদের দ্রুত সহায়তা করা হোক। এছাড়া বেসামরিক লোকদের সুরক্ষা দেওয়া এবং সেখানকার পীড়িত মানষের জন্য আরও মানবিক সহায়তা দেওয়া হোক।
বক্তৃতায় তিনি ইসরায়েলের জিম্মিদেরও মুক্তি দিতে হামাসের প্রতি আহ্বান জানান।
এর আগে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধে সৌদি আরবের রিয়াদে বৈঠকে বসেন মুসলিম বিশ্বের নেতারা। ওআইসির বিশেষ জরুরি এ বৈঠকে যোগদান শেষে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রায়িসি আমেরিকারকে কড়া হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, দখলদার ইসরায়েলকে টিকিয়ে রাখার জন্য মার্কিন সরকার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। দখলদার ইসরায়েলকে যেসব দেশ অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করে আমেরিকা তার মধ্যে প্রধান।
রোববার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। গতকাল সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে ওআইসির এ বিশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে দেওয়া বক্তৃতায় ইরানি প্রেসিডেন্ট বলেন, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল যে বর্বর আগ্রাসন ও অপরাধযজ্ঞ চালাচ্ছে তার পেছনে মূল অপরাধী হচ্ছে আমেরিকা।
ফিলিস্তিন ইস্যুতে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের দৃষ্টিভঙ্গি দৃঢ় রয়েছে বলে উল্লেখ করেন। প্রেসিডেন্ট রায়িসি বলেন, ‘সৌদি সফরে আমি ইরানি জাতি এবং যারা রাস্তায় ফিলিস্তিনিদের অধিকার নিয়ে স্লোগান দিচ্ছে তাদের কণ্ঠস্বর হওয়ার চেষ্টা করেছি।’
প্রেসিডেন্ট রায়িসি আরও বলেন, ‘ইসলামী বিপ্লব বিজয়ের পর থেকে ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার সম্পর্কে ইরানের সুস্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে, একইসাথে ইসরায়েল সরকারকে ভুয়া এবং দখলদার বলে বিবেচনা করে তেহরান।
মন্তব্য করুন