ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ গড়িয়েছে দুই সপ্তাহের বেশি সময়। এখন দাবি উঠছে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরের। তবে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, গাজায় পূর্ণ যুদ্ধবিরতি কার্যকর করলে সেটি কেবল ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকেই সাহায্য করবে।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) বার্তাসংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, হোয়াইট হাউস জানিয়েছে গাজায় পূর্ণমাত্রার যুদ্ধবিরতি কেবল হামাসকে সাহায্য করবে। তবে তাদের দাবি, গাজায় অত্যাবশ্যক সহায়তা দেওয়ার জন্য চলমান ইসরায়েলি হামলায় মানবিক ‘বিরতি’ দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত।
গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের অবিরাম বোমাবর্ষণের শিকার হওয়া ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ত্রাণ বিতরণ ‘যথেষ্ট দ্রুতগতিতে করা হয়নি’ বলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মন্তব্য করার পর হোয়াইট হাউসের এই বক্তব্য সামনে আসল, বলছে এএফপি।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘গাজায় এখন যুদ্ধবিরতি হলে সেটি আসলেই শুধু হামাসের উপকার করবে।’
কিরবি জানান, ওয়াশিংটন পূর্ণ যুদ্ধবিরতির বিরোধিতা করলেও মানবিক সাহায্য সরবরাহের সুবিধার্থে লড়াই কিছুটা থামানোর ‘বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত’।
তিনি বলেন, ‘আমরা বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে চাই এবং সামরিক অভিযানে বিরতি একটি কৌশল হিসেবে সাময়িক সময়ের জন্য হতে পারে।’ তবে তার দাবি, ‘এটাকে যুদ্ধবিরতি বলা যাবে না।’
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় হামাস। এরপরই গাজায় পাল্টা অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। টানা কয়েকদিন ধরেই গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় ৫ হাজার ৭৯১ জন ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছে।
মন্তব্য করুন