ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের অবরোধের কারণে চরম মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে। তাদের অবরোধের কারণে সেখানে বাইরে থেকে কোনো সহায়তা প্রবেশ করতে না পারায় এই অঞ্চলে খাদ্য, ওষুধ ও পানীয় জলের সংকট দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধের ১৫তম দিনে গতকাল শনিবার রাফাহ ক্রসিং দিয়ে গাজায় মাত্র ২০ ট্রাক ত্রাণসহায়তা প্রবেশ করেছে। ২৩ লাখের মানুষের জন্য এত স্বল্প পরিমাণ সহায়তা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন গাজাবাসী। তারা বলছেন, এত স্বল্প পরিমাণ ত্রাণসহায়তা এসেছে যে তা ‘মহাসমুদ্রে এক ফোঁটা পানি মতো’।
গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পরপর গাজায় পূর্ণ অবরোধ আরোপ করে ইসরায়েল। এর অংশ হিসেবে সেখানে খাবার, পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয় দেশটি। এ ছাড়া যুদ্ধ শুরুর পরপর গাজায় ত্রাণসহায়তা প্রবেশের ৩টি পথ ইসরায়েল ও মিসর বন্ধ করে দিলে গাজায় মানবিক সংকট দেখা দেয়। এরপর কয়েক দিনের আলোচনার পর শনিবার মিসর রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং খুলে দিলে গাজায় ওষুধ, খাবার ও পানি নিয়ে মাত্র ২০টি ট্রাক প্রবেশ করে। যদিও আলোচনা শুরুর পর দিকে প্রথম চালানে সেখানে ১০০ ট্রাক প্রবেশের কথা ছিল। এ ছাড়া এবারের চালানে কোনো জ্বালানিও দেওয়া হয়নি।
জ্বালানি না দেওয়ায় হতাশা প্রকাশ করে ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা বলেছেন, যুদ্ধ শুরুর আগের তুলনায় গতকাল মাত্র তিন শতাংশ সহায়তা এসেছে। যুদ্ধ শুরুর আগে প্রতিদিন গড়ে গাজায় ত্রাণসহায়তা নিয়ে সাড়ে চারশ ট্রাক প্রবেশ করত।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, ত্রাণসহায়তায় জ্বালানি না দেওয়ায় রোগী ও আহতদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে থাকবে। কেননা জ্বালানির অভাবে নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে না গাজার হাসপাতালগুলো।
অন্যদিকে কেউ কেউ বলছেন, যে পরিমাণ সহায়তা এসেছে তা দিয়ে গাজার বর্তমান সংকটজনক পরিস্থিতিতে কোনো পরিবর্তন আসবে না। নাবিলা আল-দাবাহ নামে এক ফিলিস্তিনি বলেছেন, ‘এটি মহাসমুদ্রে এক ফোঁটা পানি মতো। এটি লোক দেখানো। এটা মানুষের চোখে ধুলো দেওয়া।’
মন্তব্য করুন