গাজার আল-আহলি ব্যাপটিস্ট হাসপাতালে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ইরান। দেশটির প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইবরাহিম রাইসি এ হামলার ঘটনায় রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন। খবর পার্সটুডে।
মাজিক মাধ্যম এক্সে এক পোস্টে ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইবরাহিম রাইসি বলেন, মার্কিন ও ইসরায়েলি বোমার আগুন শিগগিরি ইহুদিবাদীদের গ্রাস করবে। তিনি বলেন, এই যুদ্ধাপরাধের মুখে কোনো আদর্শবান ব্যক্তি নীরব থাকতে পারে না। এ সময় তিনি দেশটিতে এ হামলার কারণে বুধবারকে (১৮ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় শোক দিবস বলে ঘোষণা করেন।
অপর এক এক্সবার্তায় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান বলেন, এই জঘন্য অপরাধের পর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিশ্ব মানবতার ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সময় এসেছে। উগ্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায়েশের চেয়েও ইসরায়েলি রেজিম ঘৃণিত। তিনি হাসপাতালের এ হামলাকে যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যা বলে মন্তব্য করেন।
গতকালের ওই হামলায় অন্তত ৫০০ ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন। এ ছাড়া, বহু মানুষ আহত হওয়ার পাশাপাশি অসংখ্য লোক ধ্বংসস্তূপের নিচে পড়ে রয়েছে। ফলে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গতকাল অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার একটি হাসপাতালে ইসরায়েলের ভয়াবহ বোমা হামলা হয়। এ ঘটনার পর ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা বার্তা সংস্থা আনাদোলুকে জানান, মঙ্গলবার গাজার আল-আহলি ব্যাপটিস্ট হাসপাতালে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৫০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে রোগী, নারী ও শিশু রয়েছে।
এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো শত শত মানুষ চাপা পড়ে আছে। হামলার ঘটনায় নিহত মানুষের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এটি যুদ্ধাপরাধ।
হামলার পরপর ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এটি ভয়াবহ অপরাধ, গণহত্যা। ইসরায়েলকে যেসব দেশ সমর্থন করছে এ হামলার দায় তাদেরও রয়েছে।
মন্তব্য করুন