ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের যুদ্ধ চরম অবস্থায় পৌঁছেছে। এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছে তিন হাজারেরও বেশি মানুষ। এর আগে ৬ অক্টোবর ভোরবেলা ২০ মিনিটে ৫ হাজার রকেট ছোড়ে হামাস। ইসরায়েলে এমন হামলা নজিরবিহীন।
৯ অক্টোবর প্রকাশিত দ্য টাইমস অ্যান্ড দ্য সানডে টাইমসের একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, ইসরায়েলের আশকেলনে শহরের ছোড়া রকেটকে রুখে দিচ্ছে আয়রন ডোম। আকাশেই বিস্ফোরিত হচ্ছে গাজা থেকে ছোড়া রকেট।
ইসরায়েলের আয়রন ডোম মূলত ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপ করা একটি স্বল্প পাল্লার প্রতিরক্ষাব্যবস্থা। ইসরায়েলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার অন্যতম এটি। হিব্রু ভাষায় এর নাম কিপাট বারলজেল। কার্যকারিতার কারণেই ইসরায়েলের কাছে এটি গুরুত্বপূর্ণ। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, মে মাসে ফিলিস্তিনিদের আক্রমণ রুখে দেওয়ায় ৯৫ দশমিন ৬ শতাংশ সফল ছিল আয়রন ডোম।
২০১১ সাল থেকে প্রতিরক্ষায় এটি ইসরায়েলের অন্যতম ভরসা। এটি অনেকবার নতুন করে আপডেট করা হয়েছে। ইসরায়েলের দিকে ছোড়া স্বল্প-পাল্লার মিসাইল ও রকেটকে মাঝপথে নাস্তানাবুদ করে ইসরায়েলি নাগরিকদের বাঁচাতে এটি তৈরি করা হয়েছে।
ইসরায়েলেই রাফায়েল অ্যাডভান্সড ডিফেন্স সিস্টেমের আওতায় তৈরি করা হয়েছে আয়রন ডোম। এতে সাহায্য করেছে ওয়াশিংটন। এখনো মার্কিনিরা এ আয়রন ডোম চালানোর খরচ বহনে সহায়তা করে চলেছে।
এদিকে গত ৭ অক্টোবর রকেট হামলার পাল্টা আক্রমণ জোরদার করেছে ইসরায়েলে। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা লক্ষ্য করে ৬ হাজার বোমা ছোড়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে সেনাবাহিনী আরও জানিয়েছে, এসব বোমার ওজন প্রায় ৪ হাজার টন। খবর বিবিসির।
গাজায় অব্যাহত বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত তেরশ’র বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে শিশু, নারী এমনকি পুরো পরিবারের সদস্য রয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। হামলায় ৫ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে। ঘর ছাড়া হয়েছেন সাড়ে তিন লাখের মতো ফিলিস্তিনি।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু গাজায় হামাসের স্থাপনাগুলোকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন।
মন্তব্য করুন