কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৯ অক্টোবর ২০২৩, ১১:১৮ এএম
আপডেট : ০৯ অক্টোবর ২০২৩, ১১:৫৯ এএম
অনলাইন সংস্করণ

ইসরায়েলে হামলার পরিকল্পনা হয় অন্য দেশে, মদদদাতা আরেক দেশ

লেবাননের সীমান্তে ইসরায়েলের ট্যাংক। ছবি : আলজাজিরা
লেবাননের সীমান্তে ইসরায়েলের ট্যাংক। ছবি : আলজাজিরা

হামলা-পাল্টা হামলায় জ্বলছে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস হঠাৎ করেই আগ্রাসী হামলা চালানোয় টালমাটাল বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দেশের। হাজার হাজার রকেট ছুড়ে ইসরায়েলকে রীতিমতো বিধ্বস্ত করে দিয়েছে হামাস। জবাব দিতে দেরি করেনি ইসরায়েলও; একের পর এক বিমান হামলায় জ্বালিয়ে দিয়েছে ফিলিস্তিনি অধ্যুষিত অবরুদ্ধ উপত্যকা গাজাকে। উভয়পক্ষের রক্তক্ষয়ী এ যুদ্ধে এখন পর্যন্ত হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। আহতও হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।

কিন্তু ইসরায়েলি শক্তিশালী নিরাপত্তা বাহিনীর চোখে ধুলা দিয়ে মুহুর্মুহু রকেট হামলা, দেশের ভেতরে ঢুকে ইসরায়েলি সেনাদের আটক করার যে দুঃসাহ হামাস দেখিয়েছে, তা অবাক করে দিয়েছে বিশ্বকে। এখন ঘুরে ফিরে একটি প্রশ্নই সামনে আসছে- হামাসের এ হামলা অতর্কিতে নাকি পরিকল্পিত। এ নিয়ে একটি প্রতিবেদনে প্রকাশ করেছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।

প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ফিলিস্তিনের এ হামলা পূর্বপরিকল্পিত। আগে থেকে পরিকল্পনা করে সেভাবে হামলা চালানো হয়েছে। এ ছাড়া একটি দেশ এ হামলার পরিপূর্ণ মদদদাতা হিসেবে রয়েছে।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, এ হামলার মূল মদদদাতা দেশ হলো ইরান। তাদের সঙ্গে গত আগস্ট মাস থেকে এ হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এরপর গত সোমবার সবশেষ এ পরিকল্পনার চূড়ান্ত অনুমোদন দেন ইরানের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা। এ জন্য লেবাননের রাজধানী বৈরুতে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

প্রতিবেদনে হামাস ও হিজবুল্লাহর সিনিয়র সদস্যদের বরাতে বলা হয়েছে, হামলার বিষয়ে ইরানের ইসলামিক রেভলুশনারি গার্ডের (আইআরজিসি) সঙ্গে কাজ করেছে হামাস। তাদের সঙ্গে পরিকল্পনা করে আগস্টে আকাশ, স্থল ও সমুদ্রপথে হামলার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়। এ হামলা গত এক দশকের মধ্যে ইসরায়েলের অন্যতম ভয়াবহ অধ্যায়।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এ প্রতিবেদনটি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেনের এক সাক্ষাৎকারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। চলতি সপ্তাহে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ফিলিস্তিনের এ হামলার সঙ্গে ইরানের যোগসাজশের কোনো প্রমাণ মেলেনি। এর সঙ্গে ইরানের জড়িত থাকা বা মদদ দেওয়ার কোনো বাস্তবতা নেই। তবে এটা ঠিক যে, এর সঙ্গে দূরতম কোনো সম্পর্ক থাকতে পারে।

জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি এ হামলার পরিকল্পনায় বৈরুতে বৈঠকে সব চূড়ান্ত হয়েছিল। ওই বৈঠকে আইআরজিসির কর্মকর্তা ছাড়াও ইরান সমর্থিত জঙ্গি সংগঠনের চার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের ২৮ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

৮ বিভাগেই বৃষ্টির পূর্বাভাস

৬ অক্টোবর : নামাজের সময়সূচি

কুমির ভেবে ঘড়িয়াল বেঁধে রাখলেন স্থানীয়রা

ইতিহাসের এই দিনে আলোচিত যত ঘটনা

টাঙ্গাইলে কুকুরের কামড়ে শিশুসহ আহত ২১

রোববার রাজধানীর যেসব এলাকায় যাবেন না

বন্যা মোকাবিলা ও পুনর্বাসনে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের বৈঠক

খুবিতে তৃতীয় নৈয়ায়িক ন্যাশনালসে চ্যাম্পিয়ন চবি

গণহত্যায় জড়িতদের বিচার দাবি সমমনা জোটের

১০

সিলেট কারাগারেই চিকিৎসা চলছে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী মান্নানের

১১

৬ কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে নির্বাচনের সময়সীমা নির্ধারণ : মাহফুজ

১২

রায় দিয়ে ‘বাবার ট্রাস্টে’ টাকা নেন বিচারপতি

১৩

‘সাংবাদিকরা সমাজে মেডিয়েটরের ভূমিকা পালন করে থাকেন’

১৪

দুর্গাপূজায় সনাতনীদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে বিএনপি : মাহবুবের শামীম

১৫

নাসা স্পেস অ্যাপস প্রতিযোগিতায় ঢাকা বিভাগে চ্যাম্পিয়ন জবি

১৬

ষড়যন্ত্র বানচালে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে : প্রিন্স

১৭

কার হাতে কত সোনার মজুত?

১৮

পিএসসির চাকরির পরীক্ষা নিয়ে সমন্বয়ক সারজিসের স্ট্যাটাস

১৯

যে কোনো সময় ইরানে হামলা চালাবে ইসরায়েল

২০
X