কাতারের মধ্যস্থতায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে বন্দিবিনিময় চুক্তির অংশ হিসেবে পাঁচ মার্কিন নাগরিক দোহায় পৌঁছেছেন। এবার দোহা থেকে আরেকটি বিমানে করে তাদের যুক্তরাষ্ট্রে নেওয়া হবে। খবর আলজাজিরা।
সোমবার তেহরান বিমানবন্দর থেকে তাদের নিয়ে দোহায় আসে কাতারের একটি বিমান। বিমানে পাঁচ মার্কিন নাগরিক ছাড়াও তাদের দুই আত্মীয় ও ইরানে নিযুক্ত কাতারের রাষ্ট্রদূত ছিলেন।
দোহায় বিমান থেকে নেমে মুক্তিপ্রাপ্ত এসব মার্কিন নাগরিকের মধ্যে তিনজন মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলিঙ্গন করেন। অন্য দুই নাগরিক বিমান থেকে নামার প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন। তবে তারা তাদের পরিচয় প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
ইরানের সঙ্গে বন্দি বিনিময় আলোচনায় ভূমিকা রাখার জন্য কাতার, ওমান, সুইজারল্যান্ড ও দক্ষিণ কোরিয়াকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
গত কয়েক মাস ধরে এ বন্দিবিনিময় নিয়ে আলোচনা করে তেহরান ও ওয়াশিংটন। দোহার মধ্যস্থতায় ইরানি ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে অন্তত আট দফা আলোচনা হয়েছে। দীর্ঘ আলোচনার পর বিভ্ন্নি ইস্যু নিয়ে মতবিরোধ থাকলেও জব্দকৃত ৬০০ কোটি মার্কিন ডলার ছাড় দিলে বন্দিবিনিময়ে সম্মত হয় ইরান। তবে এসব অর্থ চিকিৎসা খাতে খরচ করতে হবে ইরানকে। এ বিষয়টি নিশ্চিত করবে কাতার।
সমঝোতা অনুযায়ী, ইরানে বন্দি পাঁচ মার্কিন নাগরিককে মুক্তি দেবে তেহরান। তাদের প্রথমে বিমানে করে দোহায় এবং এরপর যুক্তরাষ্ট্রে নেওয়া হবে। বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রে বন্দি পাঁচ ইরানি নাগরিককেও মুক্তি দেবে ওয়াশিংটন।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি বলেছেন, দুজন ইরানি নাগরিক দেশে ফিরে আসবেন এবং দুজন নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রে থাকার অনুরোধ করায় তারা সেখানে থাকবেন। আর বাকি একজন তৃতীয় আরেকটি দেশে পরিবারের সঙ্গে যোগ দেবেন।
তিনি আরও বলেন, ছাড়কৃত অর্থ সোমবার নাগাদ তেহরানের কাছে পৌঁছে যাবে। চুক্তি অনুযায়ী, এ অর্থ যেন চিকিৎসা খাতে খরচ হয়, তা নিশ্চিত করবে কাতার।
মন্তব্য করুন