কাতারের মধ্যস্থতায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে বন্দিবিনিময় প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ায় ইরানের জব্দকৃত ৬০০ কোটি মার্কিন ডলার কাতারের ব্যাংকে স্থানান্তরের পরই এ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
কয়েকটি সূত্রের বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, মার্কিন বন্দিদের কাতারের একটি বিমানে করে দোহায় আনা হবে। তাদের আনার জন্য এরই মধ্যে কাতারের একটি বিমান তেহরানে পৌঁছেছে। বর্তমানে বন্দিরা তেহরান বিমানবন্দরে এসেছেন। তাদের সঙ্গে ইরানে নিযুক্ত কাতারের রাষ্ট্রদূতও রয়েছেন।
গত কয়েক মাসে ধরে এ বন্দিবিনিময় নিয়ে আলোচনা করে তেহরান ও ওয়াশিংটন। দোহার মধ্যস্থতায় ইরানি ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে অন্তত আট দফা আলোচনা হয়েছে। দীর্ঘ আলোচনার পর বিভ্ন্নি ইস্যু নিয়ে মতবিরোধ থাকলেও জব্দকৃত ৬০০ কোটি মার্কিন ডলার ছাড় দিলে বন্দিবিনিময়ে সম্মত হয় ইরান। তবে এসব অর্থ মানবিক পণ্যে খরচ করতে হবে ইরানকে। এ বিষয়টি নিশ্চিত করবে কাতার।
সমঝোতা অনুযায়ী, ইরানে বন্দি পাঁচ মার্কিন নাগরিককে মুক্তি দেবে তেহরান। তাদের প্রথমে বিমানে করে দোহায় এবং এরপর যুক্তরাষ্ট্রে নেওয়া হবে। বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রে বন্দি পাঁচ ইরানি নাগরিককেও মুক্তি দেবে ওয়াশিংটন।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি বলেছেন, দুজন ইরানি নাগরিক দেশে ফিরে আসবেন এবং দুজন নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রে থাকার অনুরোধ করায় তারা সেখানে থাকবেন। আর বাকি একজন তৃতীয় আরেকটি দেশে পরিবারের সঙ্গে যোগ দেবেন।
তিনি আরও বলেন, ছাড়কৃত অর্থ সোমবার নাগাদ তেহরানের কাছে পৌঁছে যাবে। চুক্তি অনুযায়ী, এ অর্থ যেন মানবিক পণ্যে খরচ হয়, তা নিশ্চিত করবে কাতার।
তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি যুক্তরাষ্ট্র।
মন্তব্য করুন