ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতিদের দমাতে শত শত হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এরপরও গোষ্ঠীটিকে থামানো যায়নি। গত মার্চ মাসের মাঝামাঝি থেকে গোষ্ঠীটির আট শতাধিক নিশানা করা হয়েছে।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, মার্চের মাঝামাঝি থেকে ইয়েমেনে ৮০০টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে। এতে শত শত হুথি বিদ্রোহী নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে সংগঠনের নেতৃস্থানীয় সদস্যরাও রয়েছেন।
গত ১৫ মার্চ থেকে শুরু হওয়া ‘অপারেশন রাফ রাইডারের’ অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ইরান-সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে প্রায় প্রতিদিনই বিমান হামলা চালিয়ে আসছে। এই অভিযান মূলত লোহিত সাগর ও আডেন উপসাগরে জাহাজ চলাচলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং অঞ্চলে মার্কিন প্রতিরোধ শক্তি পুনঃস্থাপনের লক্ষ্যে পরিচালিত হচ্ছে।
ইউএস সেন্টকম এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, অপারেশন রাফ রাইডার শুরুর পর থেকে ৮০০টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে। এতে শত শত হুথি যোদ্ধা ও বহু হুথি নেতা নিহত হয়েছে। এই হামলায় বহু কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল কেন্দ্র, বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, উন্নত অস্ত্র উৎপাদন কেন্দ্র এবং অস্ত্র সংরক্ষণাগার ধ্বংস করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলার পরও হুথি বিদ্রোহীরা এখনো মার্কিন এবং ইসরায়েলি জাহাজের বিরুদ্ধে হামলার দাবি করে যাচ্ছে। গোষ্ঠীটি ইয়েমেনের বড় একটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করে এবং ২০১৫ সাল থেকে সৌদি-নেতৃত্বাধীন জোটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে আসছে।
সেন্টকম জানিয়েছে, হুথিরা এখনও আমাদের জাহাজগুলোর ওপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে, তবে আমাদের অভিযানের ফলে তাদের হামলার গতি এবং কার্যকারিতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সংখ্যা ৬৯ শতাংশ এবং একমুখী ড্রোন হামলার সংখ্যা ৫৫ শতাংশ কমেছে।
সেন্টকম আরও দাবি করে, ইরান এখনো হুথিদের সমর্থন অব্যাহত রেখেছে। ইরানি শাসন ব্যবস্থার সহায়তা ছাড়া হুথিরা আমাদের বাহিনীর ওপর আক্রমণ চালাতে পারত না।
মার্কিন বাহিনী জানিয়েছে, ‘নৌ চলাচলের স্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা’ এবং ‘মার্কিন প্রতিরোধ ক্ষমতা’ পুনরুদ্ধার না করা পর্যন্ত তারা এ হামলা অব্যাহত রাখবে।
মন্তব্য করুন