লেবাননে আবারও বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। রোববার (২৭ এপ্রিল) বৈরুতের দক্ষিণ উপশহরে এ হামলা চালনো হয়।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইসরায়েলের দাবি, লক্ষ্যবস্তু হিসেবে ব্যবহৃত ভবনটি ইরান সমর্থিত গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর নিয়ন্ত্রণে ছিল এবং সেখানে ‘নির্ভুল-নিয়ন্ত্রিত ক্ষেপণাস্ত্র’ সংরক্ষিত ছিল।
লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সঙ্গে পাঁচ মাস আগে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়। এরপরও দেশটি এ হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েল জানিয়েছে, হামলার লক্ষ্য ছিল হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্রের মজুদ, যা দেশটি এবং তার নাগরিকদের জন্য হুমকি সৃষ্টি করছিল।
লেবাননের প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের প্রতি আহ্বান জানান যাতে তারা যুদ্ধবিরতির গ্যারান্টার হিসেবে ইসরায়েলকে তার হামলা বন্ধ করতে বাধ্য করে।
আলজাজিরা জানিয়েছে, বৈরুতের দক্ষিণের দাহিয়েহ অঞ্চলে প্রায় এক মাসের মধ্যে এটি প্রথম হামলা। এ অঞ্চলে হিজবুল্লাহর শক্ত ঘাঁটি রয়েছে। যদিও আনুষ্ঠানিক যুদ্ধবিরতি চুক্তি রয়েছে, ইসরায়েল প্রায় প্রতিদিনই হিজবুল্লাহ সংশ্লিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
পশ্চিমা কর্মকর্তারা বিবিসিকে জানিয়েছেন, হিজবুল্লাহ যুদ্ধবিরতির শর্ত মেনে চলেছে, তবে ইসরায়েল একাধিকবার চুক্তি লঙ্ঘন করেছে, যার মধ্যে রয়েছে বিমান হামলা এবং ড্রোন নজরদারি।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সের সরাসরি সম্প্রচারে দেখা যায়, হামলার পর হাদাথ এলাকার লক্ষ্যবস্তু ভবন থেকে বিশাল ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠছে। লেবাননের সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি এবং অগ্নিনির্বাপণ কর্মীরা আগুন নেভাতে সক্ষম হয়েছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, হিজবুল্লাহকে শক্তিশালী হতে দেওয়া হবে না। এ ছাড়া বৈরুতের দাহিয়েহ এলাকা হিজবুল্লাহর নিরাপদ আশ্রয়স্থল হতে পারবে না।
জাতিসংঘের লেবানন বিষয়ক বিশেষ সমন্বয়ক জেনিন হেনিস-প্লাসচেয়ার্ট বলেন, এই হামলা মানুষের মধ্যে ‘আশঙ্কা ও আতঙ্ক’ ছড়িয়ে দিয়েছে। তিনি উভয় পক্ষকে এমন কোনো পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান যা যুদ্ধবিরতির পরিস্থিতি আরও খারাপ করতে পারে।
এর আগে চলতি মাসের শুরুতে বৈরুতের দক্ষিণে ইসরায়েলি হামলায় হিজবুল্লাহর এক কর্মকর্তাসহ চারজন নিহত হয়েছিলেন।
মন্তব্য করুন