কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৪৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা নিয়ে প্রথমবার মন্তব্য করলেন খামেনি

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি : সংগৃহীত
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি : সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তেহরানের আলোচনা নিয়ে প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে মন্তব্য করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান এ আলোচনা নিয়ে তেহরান অতিরিক্ত আশাবাদী বা হতাশ নয়। আয়াতুল্লাহ খামেনি মঙ্গলবার ইরানের নির্বাহী, বিচার বিভাগ এবং আইনসভা শাখার প্রধানদের উদ্দেশ্যে এ কথা বলেন।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, অবশ্যই আমরা তাদের নিয়ে বেশ সংশয়ে আছি। আমরা তাদের বিশ্বাস করি না। আমরা তাদের ব্যাপারে জানি। কিন্তু নিজেদের সক্ষমতার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী। আমরা জানি, আমরা অনেক কিছু করতে পারি। আমরা অনেক পদ্ধতি জানি।

এই আলোচনার প্রথম পদক্ষেপ ভালোভাবেই বাস্তবায়ন করা গেছে বলেও মন্তব্য করেন খামেনি। তিনি জোর দিয়ে বলেন, দুপক্ষই লাল রেখা কী হবে, তা স্পষ্ট করে দিয়েছে। এখন সেগুলো সতর্কভাবে অনুসরণ করতে হবে। কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছতে না পারলেও এই আলোচনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।

২০১৫ সালে পরমাণু চুক্তি নিয়ে যে ভুল হয়েছিল, এবার যেন সেই ভুল না হয়, তা নিয়েও খামেনি সতর্ক করে দিয়েছেন। তখন আলোচনার ওপরই সবকিছুকে নির্ভরশীল করে ফেলা হয়েছিল। আমরা আমাদের দেশকে শর্তাধীন বানিয়ে ফেলেছিলাম। এমন পরিস্থিতি বিরাজ করলে কেউ সময় বিনিয়োগ করতে চায় না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

উল্লেখ্য, গত শনিবার ওমানের রাজধানীতে ইরান ও আমেরিকার মধ্যে পরমাণু ইস্যু নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। ওই আলোচনায় ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করছেন।

ইরান বলেছে, আলোচনার লক্ষ্য কেবলমাত্র দেশটির বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবৈধ একতরফা নিষেধাজ্ঞা এবং ইরানের পারমাণবিক শক্তি কর্মসূচির বিভিন্ন দিক মোকাবিলা করা। এর সাথে অন্যান্য বিষয় যুক্ত থাকার জল্পনাকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।

২০১৫ সালে ইরান ও বিশ্বশক্তির মধ্যে স্বাক্ষরিত ঐতিহাসিক পারমাণবিক চুক্তি জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অফ অ্যাকশন অনুসারে যুক্তরাষ্ট্র কিছু নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে। তবে চুক্তিটি সম্পন্ন হওয়ার তিন বছর পর ওয়াশিংটন নিষেধাজ্ঞাগুলি ফিরিয়ে আনে এবং ইরানের উপর আরও নিষেধাজ্ঞা দেয়। এরপর ইরান আবারও তাদের পরমাণু কর্মসূচিতে জোর দেয়।

ইরান বারবার বলছে তারা যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বাস করে না। ওয়াশিংটন এই প্রতিকূল মনোভাবকে সর্বোচ্চ চাপ হিসাবে অভিহিত করেছে। যার ফলে আমেরিকান কর্মকর্তারা বারবার ইরানের মাটিতে সামরিক শক্তি প্রয়োগের হুমকি দিচ্ছেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ভাঙ্গুড়ায় নিখোঁজের একদিন পর স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার

ভাঙ্গায় দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ, আহত অন্তত ২০ 

মালদ্বীপে বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে পহেলা বৈশাখ উদযাপন

বিশ্বের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় ড. ইউনুস, যা বললেন মুশফিকুল আনসারী

বিএনপি অফিস ভাঙচুরের মামলায় আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার

স্বাস্থ্য পরামর্শ / চুলের চিকিৎসায় পিআরপি: সুবিধা ও সীমাবদ্ধতা

মগবাজার রেললাইনে বাস, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন অর্ধশতাধিক যাত্রী

সৌরজগত নিয়ে বিজ্ঞানবক্তা আসিফের বক্তৃতা শনিবার

শাহবাগে আটক ছাত্রলীগ নেতা সুমিত সাহা

গভীর রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতার পদত্যাগ

১০

থানায় বসে ওসির টাকা নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল

১১

সকালের মধ্যে ১৮ জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস

১২

বিএনপি নেতাকে হাতুড়িপেটার ঘটনায় জামায়াত নেতা আটক

১৩

কুমিল্লায় জামায়াতের সম্মেলনে আ.লীগ নেতা

১৪

ফিলিস্তিনের পক্ষে অবস্থান মানেই আমেরিকার চোখে হুমকি

১৫

ইরানে ইসরায়েলের হামলার বিপজ্জনক তথ্য ফাঁস

১৬

রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধে অংশ নেওয়া আরেক বাংলাদেশি যুবক নিহত

১৭

জাফরুর নতুন সভাপতি  আরেফিন অডেন, সম্পাদক আকতারুল

১৮

আশুলিয়ায় সরকারি হাসপাতালের দাবিতে শ্রমজীবী মানুষের মানববন্ধন

১৯

বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে বিএসএফকে দিল ভারতীয়রা

২০
X