সিরিয়া থেকে ফিরে যাচ্ছে মার্কিন সেনারা। আগামী কয়েক সপ্তাহ ও মাসের ভেতর দেশটি থেকে সামরিক উপস্থিতি সীমিত করার পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মার্কিন দুই কর্মকর্তা জানান, যুক্তরাষ্ট্র আগামী কয়েক সপ্তাহ ও মাসের মধ্যে সিরিয়ায় তাদের সামরিক উপস্থিতি সীমিত করার পরিকল্পনা করেছে। এই পদক্ষেপের ফলে দেশটিতে মোতায়েন মার্কিন সেনার সংখ্যা প্রায় অর্ধেকে কমে যেতে পারে।
বর্তমানে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ছড়িয়ে থাকা বেশ কয়েকটি ঘাঁটিতে প্রায় দুহাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে। তারা স্থানীয় কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনী সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেসের (এসডিএফ) সঙ্গে কাজ করছে, যাতে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) পুনরুত্থান ঠেকানো যায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা জানান, পরিকল্পিত কৌশল অনুযায়ী সেনা সংখ্যা কমে প্রায় এক হাজারে দাঁড়াতে পারে। তবে আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, সংখ্যার বিষয়ে এখনো নিশ্চিত কিছু বলা যাচ্ছে না এবং ট্রাম্প প্রশাসনের বর্তমান মধ্যপ্রাচ্য কৌশলের প্রেক্ষিতে এত বড় পরিমাণে হ্রাস নিয়ে সংশয় রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে বি-২ বোমারু বিমান, যুদ্ধজাহাজ ও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করেছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার বলেন, ইরান ইচ্ছাকৃতভাবে পারমাণবিক চুক্তির আলোচনার গতি বিলম্ব করছে এবং যদি তারা পরমাণু অস্ত্র অর্জনের চেষ্টায় থাকে তবে তাদের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর সামরিক হামলা হতে পারে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাশার আল-আসাদের পতনের পর ইসলামপন্থি নেতৃত্বাধীন একটি নতুন সরকার সিরিয়ায় ক্ষমতায় এসেছে। তারা দেশে স্থিতিশীলতা ফেরাতে এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক পুনর্গঠনের চেষ্টা করছে। সাম্প্রতিক এক চুক্তিতে এসডিএফ ও সিরিয়ার কেন্দ্রীয় সরকার কুর্দি-নিয়ন্ত্রিত প্রশাসনিক ও নিরাপত্তা কাঠামো একীভূত করতে সম্মত হয়েছে।
মন্তব্য করুন