কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:০৯ এএম
আপডেট : ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:০৭ এএম
অনলাইন সংস্করণ

গাজায় নিহত আরও ৩৯

প্রাণে রক্ত, চোখে অশ্রু—গাজায় মৃত্যুর মিছিল বাড়ছেই। ছবি : সংগৃহীত
প্রাণে রক্ত, চোখে অশ্রু—গাজায় মৃত্যুর মিছিল বাড়ছেই। ছবি : সংগৃহীত

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের লাগাতার বিমান হামলায় ফিলিস্তিনিদের মৃত্যু মিছিল থামছে না। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও কমপক্ষে ৩৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১১৮ জন।

এর ফলে ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি সামরিক আগ্রাসনে গাজায় মোট প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ হাজার ৯৮৩ জনে। এমন তথ্য জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

সোমবার (১৪ এপ্রিল) প্রকাশিত বার্তাসংস্থা আনাদোলুর প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সংঘাত শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় মোট আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৬ হাজার ২৭৪ জনে। বাস্তবচিত্র আরও ভয়াবহ—ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে থাকা বহু মানুষ এখনও উদ্ধার হয়নি। সড়কে ও ধ্বংসপ্রাপ্ত ঘরবাড়ির নিচে পড়ে রয়েছেন অনেকেই, যাদের কাছে উদ্ধারকারীরা পৌঁছাতেও পারছেন না।

প্রসঙ্গত, চলমান সহিংসতার সূত্রপাত ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার মধ্য দিয়ে পরবর্তীতে তা পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ রূপ নেয়। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। এরপর প্রায় দুই মাস তুলনামূলক শান্ত থাকলেও মার্চ মাসের মাঝামাঝি এসে পরিস্থিতি আবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

হামাসের সঙ্গে গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার নিয়ে মতানৈক্যের জেরে গত ১৮ মার্চ থেকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে আবার নতুন করে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৬১৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও ৪ হাজার ২০০ জনের বেশি।

জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, ইসরায়েলের এই টানা হামলায় গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন। একইসঙ্গে অঞ্চলটির প্রায় ৬০ শতাংশ অবকাঠামো সম্পূর্ণ ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে হাসপাতাল, স্কুল, আবাসিক ভবন এবং পানি-বিদ্যুৎ সরবরাহের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাও।

গাজায় ইসরায়েলের এই আগ্রাসন আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। গত বছরের নভেম্বরেই আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গাজায় সংঘটিত যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

এছাড়াও আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলা চলমান রয়েছে।

এই মানবিক বিপর্যয়ের প্রেক্ষিতে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে এবং গাজার অসহায় মানুষের জন্য জরুরি মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানিয়েছে। তবে অবরুদ্ধ অবস্থা ও লাগাতার হামলার কারণে সহায়তা পৌঁছানোও কঠিন হয়ে পড়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

অটোরিকশা চার্জ দিতে গিয়ে প্রাণ গেল ২ জনের

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির বৈঠক আজ

বিয়ের দাবিতে প্রেমিকার অবস্থান নিয়ে সংঘর্ষে আহত যুবকের মৃত্যু

প্যারিসে নানা আয়োজনে উদ্‌যাপিত হলো বাংলা নববর্ষ ১৪৩২

আগুন আতঙ্কে ট্রেন থেকে দম্পতির লাফ, কোলে থাকা শিশুর মৃত্যু

ভারতে ২৪ বাংলাদেশি নারী-পুরুষ গ্রেপ্তার

বুধবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

ট্রাম্পের দুই উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসছেন আজ

১৬ এপ্রিল : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

১৬ এপ্রিল : আজকের নামাজের সময়সূচি

১০

গাজায় ইসরায়েলি হামলার সবশেষ পরিস্থিতি 

১১

দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ওয়ার্ড বিএনপির সম্মেলন পণ্ড

১২

ইরান-যুক্তরাষ্ট্র / এই বাঘ-বন্দি খেলায় জিতবে কে?

১৩

অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তনের কাছাকাছি গিয়ে ভিলার স্বপ্নভঙ্গ

১৪

ডর্টমুন্ডের কাছে হারের পরও সেমিতে বার্সা

১৫

দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বে সিলেটে ছাত্রলীগ কর্মী নিহত

১৬

হাসপাতালে সেবা বন্ধে জনদুর্ভোগ, পরে কর্মবিরতি প্রত্যাহার

১৭

ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে ৪ কোটি টাকা আদায়ের অভিযোগ

১৮

কুয়েটে ৩৭ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারাদেশ পুনর্বিবেচনার আহ্বান ছাত্রদলের

১৯

ঢাবিতে প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

২০
X