ওমানের মধ্যস্থতায় শুরু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনা। প্রথম দফায় হয়ে যাওয়া সেই আলোচনা আশার আলোও দেখাচ্ছে। আর তাই দ্বিতীয় দফায়ও একসঙ্গে বসতে যাচ্ছেন মার্কিন ও ইরানি কর্মকর্তারা। মধ্যপ্রাচ্যে টান টান উত্তেজনার পর কূটনীতির মাধ্যমে সংকট সমাধানের এমন পথ তৈরি হওয়ায় আঞ্চলিক দেশগুলোও এখন প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে।
এই অঞ্চলে ইরানের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী সৌদি আরব পরোক্ষ এই আলোচনা নিয়ে মুখ খুলেছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তেহরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রকে ওমান এক টেবিলে বসানোয় স্বাগত জানাচ্ছে রিয়াদ।
সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আরব নিউজ জানিয়েছে, সৌদি আরব আশা করছে এই আলোচনা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও শান্তি বাড়ানোর যৌথ পদক্ষেপকে সমর্থন করবে। যে কোনো ধরনের আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিরোধের নিরসনের ক্ষেত্রে সৌদি আরব সংলাপকে অগ্রাধিকার দেয় বলেও বিবৃতি দিয়েছে সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এর আগে কাতার ও মিসরের পক্ষ থেকে এই আলোচনাকে স্বাগত জানানো হয়। কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, দেশটির প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনালাপে গাজা এবং দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। সে সঙ্গে ওমানে অনুষ্ঠিত ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম দফার পরোক্ষ আলোচনাকে স্বাগত জানান তারা।
অন্যদিকে মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আহমেদ ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফোন করেন। এই আলোচনায় ওমানের মাসকাটে অনুষ্ঠিত ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের সংলাপ নিয়ে মতবিনিময় হয়। মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার দেশের আনুষ্ঠানিক বিবৃতির উল্লেখ করে বলেন, মিসর এই আলোচনা স্বাগত জানায় এবং আশা করে এতে ইতিবাচক ফল আসবে।
উল্লেখ্য, নতুন একটি পরমাণু চুক্তিতে পৌঁছতে সম্প্রতি আলোচনায় বসেন আমেরিকান ও ইরানি কর্মকর্তারা। পরোক্ষ এই আলোচনায় মধ্যস্থতা করছে ওমান। গেল শনিবার ওমানের রাজধানী মাসকাটে এক দফা আলোচনাও করেন যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের আলোচকরা।
মন্তব্য করুন