যুদ্ধবিরতি ভেঙে ফিলিস্তিনের গাজায় নতুন করে ইসরায়েলি হামলায় ৫০০ শিশু নিহত হয়েছে। গাজার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ শনিবার (১২ এপ্রিল) এ তথ্য জানিয়েছে। খবর আলজাজিরা ও প্রেস টিভির।
আন্তর্জাতিক সব যুদ্ধনীতি উপেক্ষা করে গত ১৮ মার্চ গাজায় নতুন করে হামলা চালায় ইসরায়েল। এ দফায় রাত-দিন ভয়াবহ বোমাবর্ষণ করছে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো। প্রতিদিনই প্রাণ হারাচ্ছেন বেসামরিক মানুষ। যাদের অধিকাংশ নারী ও শিশু।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, নতুন দফায় হামলায় মোট নিহতের সংখ্যা ১৫৬০ জন। তবে নিহতের সংখ্যা আরও বেশি। কারণ, অনেকের মরদেহ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে।
এমনকি ইসরায়েলের চালানো অন্তত ৩৬টি বিমান হামলায় কেবল নারী ও শিশুরা নিহত হয়েছেন। গত মার্চ মাসের মাঝামাঝি থেকে এ হামলা চালানো হয়েছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, গত মার্চ মাসের মাঝামাঝি থেকে গাজায় ইসরায়েলের অন্তত ৩৬টি বিমান হামলায় নিহতদের মধ্যে শুধু ফিলিস্তিনি নারী ও শিশু ছিল। জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনারের কার্যালয় শুক্রবার এই তথ্য প্রকাশ করেছে।
জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনারের মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি জানান, গত ১৮ মার্চ থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় আবাসিক ভবন ও শরণার্থীদের তাঁবুর ওপর ২২৪টি হামলার তথ্য নথিভুক্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের প্রমাণিত তথ্যানুসারে যেসব ৩৬টি হামলার বিশ্লেষণ করা হয়েছে, তাতে দেখা গেছে, সেখানে কেবল নারী ও শিশু নিহত হয়েছে।
এদিকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর শুরু হওয়া ইসরায়েলি আক্রমণে মোট ৫০৯৩৩ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১১৬০৪৫ জন।
সেখানকার পরিস্থিতি দিন দিন আরও করুণ হচ্ছে। কারণ, এ দফায় ইসরায়েল গাজায় সম্পূর্ণ অবরোধ আরোপ করেছে। ফলে উপত্যকায় খাদ্য, পানি, জ্বালানি ও ওষুধসহ সব জরুরি পণ্য সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস এক বিবৃতিতে বলেন, এক মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেছে, গাজায় এক ফোঁটা সাহায্যও পৌঁছায়নি। না খাবার, না জ্বালানি, না ওষুধ। কোনো বাণিজ্যিক পণ্যও ঢোকেনি।
তিনি আরও বলেন, সাহায্য বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গাজা এখন এক মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছে। মানুষ এক নিরবচ্ছিন্ন মৃত্যুর চক্রে পড়ে গেছে।
মন্তব্য করুন