ফিলিস্তিনের গাজার বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনী বোমাবর্ষণ করেছে। এতে বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) ৪০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। একই সময় আহত হয়েছেন ১৪৬ জন। তাদের অনেকে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আহত হন।
আনাদোলু এজেন্সির খবরে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নিহতের ঘটনায় গাজায় মৃতের সংখ্যা ৫০ হাজার ৮৮৬ জনে পৌঁছেছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর শুরু হওয়া ইসরায়েলি আক্রমণে আহতের সংখ্যা ১১৫,৮৭৫ জনে পৌঁছেছে। তাদের অধিকাংশ নারী ও শিশু। ইসরায়েলি বাধায় এসব মানুষ চিকিৎসাসেবা নিতেও হিমশিম খাচ্ছেন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরায়েল গাজায় আগ্রাসন চালিয়ে আসছে। ইসরায়েলের দাবি, হামাসের হামলায় ১,২০০ ইসরায়েলি নিহত ও ২৫০ জন জিম্মি হয়েছিল। জিম্মিদের উদ্ধার এবং হামাস নির্মূলে হামলা আরও তীব্র করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসরায়েল।
এদিকে নতুন আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে পানিশূন্যতা। কারণ, ফিলিস্তিনের গাজার ৭০ শতাংশ পানি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। বুধবার (৯ এপ্রিল) আলজাজিরায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকায় পানিপ্রবাহ বন্ধ করে দিচ্ছে। যার ফলে ফিলিস্তিনি উপত্যকায় মোট পানি সরবরাহের ৭০ শতাংশ কার্যকরভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
যুদ্ধবিরতির সময় মজুত করা খাবারও ফুরিয়ে আসছে। সংকটে দাতব্য সংস্থাগুলো জরুরি খাবার বিতরণ করতে পারছে না। বেকারিগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। বাজারে কোনো পণ্য নেই।
এত কিছুর পরও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না বিশ্ব। গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য নেতানিয়াহু এবং তার প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। অথচ এখনও কোনো দেশ তা কার্যকরে এগিয়ে আসেনি।
মন্তব্য করুন