ফিলিস্তিনের গাজার বিভিন্ন এলাকায় আবাসিক ভবনে ইসরায়েলি বাহিনী বোমাবর্ষণ করেছে। এতে গত বুধবার (৯ এপ্রিল) ৩৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। একই সময় আহত হয়েছেন ৫৫। তাদের অনেককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলেও অস্ত্রোপচারের মতো চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয়নি।
এদিকে সেসব ঘটনায় ৮০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। তারা ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছেন। ভারী উদ্ধারযন্ত্র না থাকায় অনেকটা অসহায় উদ্ধারকারীরা। ধারণা করা হচ্ছে, আটকেপড়াদের অনেকে নিহত হয়েছেন। বাকিদের দ্রুত উদ্ধার সম্ভব না হলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে।
আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার গাজা শহরের শেজাইয়া পাড়ায় আবাসিক ভবনে ইসরায়েলি বিমান বোমাবর্ষণ করে। নিহতের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরায়েল গাজায় আগ্রাসন চালিয়ে আসছে। ইসরায়েলের দাবি, হামাসের হামলায় ১,২০০ ইসরায়েলি নিহত ও ২৫০ জন জিম্মি হয়েছিল। জিম্মিদের উদ্ধার এবং হামাস নির্মূলে হামলা আরও তীব্র করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসরায়েল।
এদিকে নতুন আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে পানিশূন্যতা। কারণ, ফিলিস্তিনের গাজার ৭০ শতাংশ পানি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। বুধবার (৯ এপ্রিল) আলজাজিরায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকায় পানিপ্রবাহ বন্ধ করে দিচ্ছে। যার ফলে ফিলিস্তিনি উপত্যকায় মোট পানি সরবরাহের ৭০ শতাংশ কার্যকরভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
ইসরায়েলি কোম্পানি মেকোরোট গাজায় সিংহভাগ পানি সরবরাহ করে। আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা ও মানবাধিকার সংস্থার মধ্যস্থতায় কোম্পানিটি খাবার পানি সরবরাহ করে আসছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী মেকোরোটে পাইপলাইনে হস্তক্ষেপ করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গাজা পৌরসভার মুখপাত্র হোসনি মেহান্না বলেন, সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ফলে পূর্ব গাজা শহরের শুজাইয়া পাড়ায় অবস্থিত মূল পাইপলাইনে পানি নেই। ফলে সেখান থেকে সাব-সরবরাহ চ্যানেল অকেজো। কোথাও সামান্য সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে। সেখান থেকে পানি সংগ্রহে মরিয়া গাজাবাসী। ফলে পুরো পানি সরবরাহ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
মন্তব্য করুন