ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এ হামলায় ঠেকাতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয় ইসরায়েল। এজন্য ব্যর্থতার দায় স্বীকারও করেছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) প্রধান। এবার এ দিন হামলার পর কী কী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন তার বিস্তারিত সূচি করার প্রকাশ করেছে আইডিএফ।
মঙ্গলবার (০৮ এপ্রিল) টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রথমবারের মতো সাবেক আইডিএফ প্রধান হেরজি হালেভির ৭ অক্টোবরের সময়সূচি প্রকাশ করেছে। এই দিন হামাসের আকস্মিক হামলার পর, হালেভি কীভাবে সময় কাটিয়েছেন, তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিতর্ক চলছিল।
এই তথ্য প্রকাশ করা হয় ‘হাৎসলাখা– ফর দ্য অ্যাডভান্সমেন্ট অব অ্যা ফেয়ার সোসাইটি’ নামক এক বেসরকারি সংস্থার তথ্য অধিকার আইনে দায়ের করা আবেদন অনুসারে। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে আবেদনটি করা হলেও, আইডিএফ দীর্ঘ এক বছর ধরে এ বিষয়ে কোনো সাড়া দেয়নি। শেষমেশ আদালতের চূড়ান্ত সময়সীমার ঠিক আগে, ২০২৩ সালের শেষ তিন মাসের সময়সূচি আংশিকভাবে প্রকাশ করে আইডিএফ।
তবে প্রকাশিত সময়সূচিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো বৈঠকের উল্লেখ নেই, যদিও আবেদনকারীরা তা স্পষ্টভাবে চেয়েছিলেন।
আইডিএফ দাবি করেছে, হামাসের আকস্মিক হামলার ফলে প্রথম ধাক্কায় অনেক কিছুই নথিভুক্ত করা হয়নি। প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, হালেভির প্রথম বৈঠক ছিল সকাল ৭টায়, যা হামলার মাত্র অর্ধ ঘণ্টা পর। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয় সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে।
তবে এও জানা গেছে, অক্টোবর ৫ তারিখে সন্ধ্যায়, অর্থাৎ যুদ্ধ শুরুর মাত্র ৩৬ ঘণ্টা আগে, হালেভি একটি সুরক্ষা ব্রিফিং করেছিলেন যেখানে আইডিএফ-এর যুদ্ধ প্রস্তুতি আলোচনা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ঘটনা ইসরায়েলের ইতিহাসে প্রথম, যেখানে কোনো চিফ অব স্টাফের ব্যক্তিগত কার্যতালিকা তথ্য অধিকার আইনে প্রকাশ করা হলো।
আইডিএফ জানিয়েছে, নিরাপত্তাজনিত নানা চ্যালেঞ্জ ও জটিল বাস্তবতায় সময় লাগছিল সঠিকভাবে তথ্য যাচাই ও নিরাপত্তা মূল্যায়নের জন্য। তাই সংশ্লিষ্ট পেশাদার সংস্থার মতামত নিয়েই জবাব তৈরি করতে সময় লেগেছে।
মন্তব্য করুন