ফিলিস্তিনের গাজার বিভিন্ন এলাকায় গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনী মুহুর্মুহু হামলা চালিয়েছে। এতে ২৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। একই সময় আহত হয়েছেন আরও অনেকে। তাদের অনেককে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা সম্ভব হয়নি। সে সঙ্গে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী পশ্চিম রাফায় আবাসিক ভবন গুঁড়িয়ে দিচ্ছে। রোববার (৬ এপ্রিল) আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার গাজা উপত্যকায় একাধিক ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ২৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। বিভিন্ন স্থানে বিমান হামলার পাশাপাশি ইসরায়েলি সেনাবাহিনী শহরের পশ্চিম অংশ রাফায় আবাসিক ভবন ভেঙে ফেলা অব্যাহত রেখেছে। বিশেষ করে তেল আল-সুলতান পাড়ায় সব নিঃশেষ করে ফেলছে নেতানিয়াহুর বাহিনী। তারা গত ২৩ মার্চ থেকে এলাকাটিতে ভয়াবহ সামরিক আক্রমণ চালিয়ে আসছে।
সেনাবাহিনী তাদের নিয়ন্ত্রণ সম্প্রসারণ এবং বাফার নিরাপত্তা অঞ্চল প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়ে এলাকাটি অবরুদ্ধ করে এ ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে।
নিহতদের বিষয়ে গাজার চিকিৎসা সূত্র আনাদোলুকে জানিয়েছে, সর্বশেষ বিমান হামলায় গাজা শহরের পূর্বে আল-শুজাইয়া পাড়ায় তিনজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, একই পাড়ায় আল-সালাম মসজিদের কাছে একটি বাড়ি লক্ষ্য করে কামানের গোলাবর্ষণে আরও একজন ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
দক্ষিণ গাজা উপত্যকার খান ইউনিসে বানি সুহেলা শহরে বেসামরিক লোকদের একটি দলকে লক্ষ্য করে হামলায় একজন ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন।
দক্ষিণ গাজা উপত্যকার খান ইউনিসের দক্ষিণে কিজান আবু রাশওয়ান এলাকায় একদল লোককে লক্ষ্য করে ইসরায়েলি হামলায় ছয়জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। অপর একটি মেডিকেল সূত্র জানিয়েছে, গাজার উত্তরাঞ্চলে বেইত হানুনের আল-নাইমা স্ট্রিটে ফিলিস্তিনিদের একটি দলকে লক্ষ্য করে চালানো হামলায় আরও ছয়জন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া বাকিরা গাজার বিভিন্ন এলাকায় হামলার শিকার হয়ে নিহত হন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরায়েল গাজায় আগ্রাসন চালিয়ে আসছে। ইসরায়েলের দাবি, হামাসের হামলায় ১,২০০ ইসরায়েলি নিহত ও ২৫০ জন জিম্মি হয়েছিল। জিম্মিদের উদ্ধার এবং হামাস নির্মূলে হামলা আরও তীব্র করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসরায়েল।
মন্তব্য করুন