মঙ্গলবার, ০১ এপ্রিল ২০২৫, ১৮ চৈত্র ১৪৩১
কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৯ মার্চ ২০২৫, ০৯:২০ পিএম
আপডেট : ২৯ মার্চ ২০২৫, ০৯:৪৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

চাঁদ দেখা গেছে, সৌদিতে ঈদ রোববার

ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

পবিত্র মাহে রমজান মাসের শেষ প্রহরে মুসলমানদের মধ্যে ঈদুল ফিতর উদযাপনের আনন্দ সবখানে ছড়িয়ে পড়েছে। দীর্ঘ এক মাসের সিয়াম সাধনার পর, সৌদি আরবে ঈদুল ফিতরের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে সৌদি আরবে আগামীকাল রোববার (৩০ মার্চ) ঈদুল ফিতর উদযাপন হবে, যা সারা বিশ্বের মুসলমানদের জন্য এক বিশেষ দিন হিসেবে পরিচিত।

স্থানীয় সময় শনিবার (২৯ মার্চ) দুই মসজিদভিত্তিক ওয়েবসাইট ইনসাইড দ্য হারামাইন এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২৯ মার্চ সৌদি আরবে ছিল ১৪৪৬ হিজরি সনের ২৯ রমজান। ঐদিন সৌদি নাগরিকরা শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখতে সন্ধ্যা থেকে উৎসুক হয়ে ওঠেন। সৌদি সুপ্রিম কোর্ট দেশবাসীকে চাঁদ দেখার জন্য বিশেষভাবে আহ্বান জানিয়েছিল। রমজান মাসের শেষে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি ঈদুল ফিতরের উদযাপনের সূচনা করে।

শনিবার সন্ধ্যায় সৌদি আরবের বড় দুই পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র সুদাইর ও তুমাইরে সবচেয়ে বড় প্রস্তুতি নেওয়া হয়। সেখানে সন্ধ্যা ৬টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঈদের চাঁদের অনুসন্ধান শুরু হয়। ঈদের চাঁদ দেখা গেছে এই ঘোষণার পর, সৌদি আরবের মুসলমানরা রমজান মাসের এক মাসব্যাপী সিয়াম সাধনার পর ঈদ উদযাপন শুরু করেন, যা তাদের জন্য এক মহান আনন্দের মুহূর্ত।

প্রসঙ্গত, সৌদি আরবের মতো সংযুক্ত আরব আমিরাতেও একই দিনে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখতে আহ্বান জানানো হয়। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে চাঁদ দেখার জন্য গণনা করা হয়, কারণ আরবি মাসগুলো সাধারণত ২৯ অথবা ৩০ দিনের হয়ে থাকে। এর ফলে, কখন ঈদ পালিত হবে তা নির্ধারণ করা হয় চাঁদ দেখা যাওয়ার ওপর ভিত্তি করে।

এর আগে সৌদি সুপ্রিম কোর্ট ২৭ মার্চ এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জনসাধারণকে অনুরোধ জানায়, যে কেউ যদি খালি চোখে বা দূরবীক্ষণ যন্ত্রের মাধ্যমে চাঁদ দেখতে পান, তবে তা যেন নিকটস্থ আদালত বা রেজিস্ট্রারে অবহিত করেন। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সৌদি আরব সরকার নিশ্চিত করে, চাঁদ দেখার খবরটি সঠিকভাবে পৌঁছাবে এবং ঈদের তারিখ নির্ধারণ করা হবে।

এ বছরের ১ মার্চ থেকে সৌদি আরবসহ আরব বিশ্বের অধিকাংশ দেশে পবিত্র রমজান মাস শুরু হয়েছিল। রমজান মাসের শেষে শাওয়াল মাসের প্রথম দিন ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়, যা মুসলিমদের জন্য একটি বড় উৎসব এবং সুখের মুহূর্ত হিসেবে পরিচিত। ঈদুল ফিতরের পরে ঈদুল আজহা উৎসবের অপেক্ষা শুরু হয়, যা ইসলামের অন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব।

এদিকে, মুসলমানরা রমজান মাসের উপবাস পালন করে শারীরিক, মানসিক এবং আধ্যাত্মিকভাবে পবিত্রতা অর্জন করে থাকেন, যা ঈদের মাধ্যমে আনন্দের সঙ্গে শেষ হয়। ঈদুল ফিতর মঙ্গল এবং শান্তির বার্তা নিয়ে আসে, যা মুসলিম সমাজের মধ্যে একাত্মতা ও বন্ধুত্বের প্রদর্শন হিসেবে দেখা হয়।

সূত্র : খালিজ টাইম

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মোটরসাইকেলের ধাক্কায় চা শ্রমিক নিহত

সেলুনের আড়ালে মাদক ব্যবসা করতেন সুনীল

বন্ধুর বাড়ি থেকে ফেরা হলো না সিয়ামের

জাফলংয়ে ঈদের দিনেই পর্যটকের উপচে পড়া ভিড়

ঘোড়দৌড় আর গ্রামীণ উৎসবে মাতল টাঙ্গাইলের হাজারও মানুষ

অলোকের লাশ দেখে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন প্রতিবেশী স্বপ্না

চাঁদাবাজির অভিযোগ, বিএনপি নেতা নিপুনকে অব্যাহতি

২০ বছরের যুবকের বাড়িতে ২৫ বছরের নারীর অনশন

চাঁদা না দেওয়ায় দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

বাজি ফোটানোকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, যুবক খুন

১০

রাজধানীতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৬

১১

বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন খালেদা জিয়া

১২

ঈদ আনন্দ মিছিল, আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশের বিবৃতি

১৩

ঈদে শহীদ রিহানের বাড়িতে জামায়াত আমির

১৪

নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিএনপি নেতা অপুর ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়

১৫

ঈদের দিনে কারাগারে কী খেলেন আ. লীগ নেতারা

১৬

শহীদ পরিবারের সঙ্গে ঈদ কাটল জামায়াত আমিরের

১৭

ঈদ শুভেচ্ছা জানাতে শহীদ মুগ্ধের বাসায় রিজভী

১৮

এতিমদের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জিলানীর ঈদ উদযাপন

১৯

শহীদ পরিবারের সঙ্গে জবি সাংবাদিক সমিতি সেক্রেটারির সৌজন্য সাক্ষাৎ 

২০
X