সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সহযোগী ছিলেন গ্র্যান্ড মুফতি শেখ আহমেদ বাদরেদ্দিন হাসোন। এ কারণে তাকে অনেকে ‘আসাদের মুফতি’ হিসেবে ডাকতেন। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ এবং পরবর্তী সময়ে আসাদের চালানো গণহত্যায় সমর্থন জানান সাবেক এই গ্র্যান্ড মুফতি। এমনকি ২০১৭ সালে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর দেশটির সেনাবাহিনী ও বৌদ্ধ সন্ত্রাসীরা যে নির্মম গণহত্যা চালায় সেটিতেও সমর্থন জানিয়েছিলেন তিনি।
২০১৭ সালে জানা যায়, আসাদবিরোধী যে হাজার হাজার মানুষকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে সেগুলোর অনুমোদন দিয়েছিলেন তিনজন। যার অন্যতম হলেন এই বিতর্কিত গ্র্যান্ড মুফতি শেখ আহমেদ বাদরেদ্দিন হাসোন।
জানা গেছে, আসাদ শিয়া ধর্মাবলম্বী হলেও বিতর্কিত এ গ্র্যান্ড মুফতি ছিলেন সুন্নি মুসলিম। আসাদের পতনের পর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকার পর প্রতিবন্ধীর ছদ্মবেশে দেশ থেকে পালানোর পরিকল্পনা করেন তিনি।
কিন্তু শেষ রক্ষাটা আর হয়নি। প্রতিবন্ধী সেজে বিদেশে পালানোর জন্য বিমানবন্দরে প্রবেশে করেন তিনি। ঢুকে যান দামেস্ক বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জেও। কিন্তু সন্দেহ হওয়ায় সেখানে থাকা নিরাপত্তারক্ষীরা আটক করেন তাকে। পরে জানা যায়, এই ব্যক্তিই আসাদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে সমর্থন দেওয়া একজন। পরে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম নিউ আরব।
শেখ আহমেদ বাদরেদ্দিন হাসোন ২০০৫ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সিরিয়ার গ্র্যান্ড মুফতি ছিলেন। ওই বছর এ পদটি বিলোপ করেন সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। গত ডিসেম্বরে আসাদের পতনের পর তাকে আটক করে আবার ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।
মন্তব্য করুন