ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ কূটনীতিক কাজা কালাস রোববার (২৪ মার্চ) মিসরে যাত্রা বিরতিকালে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নতুন করে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানান। এরপর তিনি গাজায় যুদ্ধবিরতি পুনর্বহালের লক্ষ্যে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের উদ্দেশে রওয়ানা দেন। খবর এএফপি।
এর আগে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির পরবর্তী ধাপে আলোচনা স্থগিত হওয়ার পর যুদ্ধবিরতির চুক্তি ভেঙে মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় তীব্র বিমান হামলা শুরু করে এবং পরে স্থল অভিযান চালায়।
কায়রোতে মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আবদেলাত্তির সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে ইইউর কাজা কালাস বলেন, আমরা ইসরায়েলের পুনরায় শত্রুতা শুরুর তীব্র বিরোধিতা করি, যার ফলে গাজায় ভয়াবহ প্রাণহানি ঘটে। এই হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে হবে। নতুন যুদ্ধে উভয়পক্ষই হেরে গেছে।
তিনি যোগ করেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে, এটা খুবই স্পষ্ট যে হামাসকে অবশ্যই সব জিম্মিকে মুক্তি দিতে হবে ও ইসরায়েলকে অবশ্যই গাজায় মানবিক সহায়তা সম্পূর্ণরূপে পুনঃস্থাপন করতে হবে এবং আলোচনা পুনরায় শুরু করতে হবে।
কালাসের টিম পরে নিশ্চিত করেছে যে, তিনি মিসর ছেড়ে ইসরায়েলে পৌঁছেছেন। তার কার্যালয় জানিয়েছে, সোমবার সেখানে এবং ফিলিস্তিনি অঞ্চলগুলোয় আলোচনার সময় তিনি অবিলম্বে ‘যুদ্ধবিরতি-জিম্মি মুক্তি চুক্তির সম্পূর্ণ বাস্তবায়নে ফেরত আসার আহ্বান জানাবেন’ বলে আশা করা হচ্ছে।
গাজায় এবং সমগ্র অঞ্চলে মানবিক সহায়তার নিরবচ্ছিন্ন প্রবেশাধিকার এবং টেকসই বিতরণের গুরুত্বও তুলে ধরবেন কালাস। জাতিসংঘ শুক্রবার বলেছে, ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির পর ইসরায়েল পুনরায় সামরিক অভিযান শুরু করার পর থেকে গাজা এক ‘দুঃস্বপ্নের’ মুখোমুখি হয়েছে।
উল্লেখ্য, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত ৫০ হাজার ২১ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ১৩ হাজার ২৭৪ জন আহত হয়েছেন। তবে গাজার সরকারি গণমাধ্যম দপ্তর জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে হাজারো নিখোঁজ ব্যক্তিকে ধরলে নিহতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে।
অন্যদিকে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের অভিযানে ইসরায়েলে ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত এবং ২০০ জনের বেশি মানুষ বন্দি হয়েছিল।
মন্তব্য করুন