মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতি পরিবর্তন না হলে ইরানের সঙ্গে কোনো আলোচনায় বসবে না বলে জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়্যেদ আব্বাস আরাকচি। তিনি আরও বলেন, ইরান সবসময় যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত, তবে যুদ্ধের প্রতি ইরানের আগ্রহ নেই।
এর আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানকে একটি নতুন পরমাণু চুক্তিতে সম্মত হতে দুই মাসের সময়সীমা বেঁধে দেন এবং রাজি না হলে তেহরানে হামলার হুমকি দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে, ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি যুক্তরাষ্ট্রকে বাড়াবাড়ি না করার আহ্বান জানান।
সংবাদমাধ্যম পার্সটুডে সূত্রে জানা যায় এক সাক্ষাৎকারে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরাকচি বলেন, চিঠি কূটনীতির অংশ হতে পারে, তবে তা চাপ এবং হুমকির অংশও হতে পারে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে আরও বলেন, ইরান যুদ্ধ চায় না, কিন্তু যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত।
আরাকচি জানান, ইরানকে যুদ্ধ থেকে বিরত রাখার জন্য কূটনীতির প্রতি অঙ্গীকার রয়েছে, তবে যুদ্ধ অনিবার্য হলে, ইরান যুদ্ধকে ভয় পায় না। তিনি বলেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরোক্ষ আলোচনার কৌশল নিয়েছি। তবে বর্তমানে এমন পরিস্থিতি রয়েছে, যেখানে কোনো সুস্থ মানুষ সরাসরি আলোচনায় বসবে না।
দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ইরান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনায় রাজি না হওয়ার পেছনে একগুঁয়েমি নয়, বরং অতীত অভিজ্ঞতা এবং ইতিহাসের শিক্ষা রয়েছে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজনীয়তা এবং নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে জোর দেন।
ইরানের বাস্তবতা এবং সক্ষমতা সম্পর্কে ইহুদিবাদীরা এবং অন্যদের যা উপস্থাপন এবং প্রচার করেছে, তা ভুল বলে দাবি করেন আরাকচি। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ট্রাম্প ও অন্যরা তাদের নীতিতে পরিবর্তন আনবে এবং যুক্তিসঙ্গত পথে চলবে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে ঐতিহাসিক পরমাণু চুক্তি থেকে একতরফাভাবে প্রত্যাহার করার পর থেকে ইরান তার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের পরিমাণ ৬০ শতাংশে উন্নীত করেছে। যদিও ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর ইরানের সঙ্গে আলোচনার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
এদিকে, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যদি সর্বোচ্চ চাপের নীতি অনুসরণ করা হয়, তবে ফলাফল একই হবে, আর তাই সর্বোচ্চ যুক্তির পথ অনুসরণ করা উচিত।
মন্তব্য করুন