গাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাব মেনে নিয়েছেন মিসরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল সিসি। লেবাননের একটি সংবাদপত্র আল-আখবরের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে জেরুজালেম পোস্ট।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, গাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের মধ্য থেকে ৫ লাখকে আপাতত নিজের দেশে ঠাঁই দেবেন আল সিসি। আল-আখবর লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধা সংশ্লিষ্ট একটি সংবাদপত্র।
মিসরের সিনাই উপত্যকার উত্তরে একটি শহরে বাস্তুচ্যুত এই ফিলিস্তিনিদের রাখা হবে। সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে আল সিসি এমন মন্তব্য করেন বলে দাবি করা হয়।
ওই সম্মেলনে মিসরীয় প্রেসিডেন্ট ছাড়া আঞ্চলিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন। আল সিসির সিদ্ধান্তের পর জর্ডানের নেতৃত্ব উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বলেও ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়। কারণ এর আগে ট্রাম্পের এমন প্রস্তাবের ঘোর বিরোধিতা করেছিল জর্ডান।
গেল ফেব্রুয়ারির শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র সফররত ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে গাজা নিয়ে চমকে যাওয়া পরিকল্পনা পেশ করেন ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসে ওই সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের মিসর ও জর্ডানে স্থানান্তরের প্রস্তাব দেন।
পাশাপাশি তিনি এও জানান, তার দেশ গাজার নিয়ন্ত্রণ নিতে চায়। প্রয়োজনে গাজা দখলেরও কথা বলেন তিনি। যদিও একই মাসে ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প জানান, তিনি জোর করে কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেবেন না।
ট্রাম্পের এমন ঘোষণার পর আরব বিশ্ব তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখায়। আর মিসর ও জর্ডান সরাসরি জানিয়ে দেয়, তারা ট্রাম্পের এমন প্রস্তাব মেনে নেবে না। অবস্থা বেগতিক হতে পারে ভেবে মার্চের শুরুতে গাজা পুনর্গঠনে ৫৩ বিলিয়ন ডলারের পরিকল্পনা ঘোষণা করে মিসর। এ জন্য তিনি আরব নেতাদের এক করে একটি প্রস্তাবও পেশ করেন।
ওই প্রস্তাব অনুযায়ী, গাজায় ফিলিস্তিনিদের রেখেই এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। কিন্তু লেবানিজ সংবাদপত্রের দাবি সত্য হলে আল সিসি তার অবস্থান পরিবর্তন করেছেন।
মন্তব্য করুন