গাজা উপত্যকাজুড়ে ইসরায়েলি বিমান হামলার খবর পাওয়া গেছে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ দূত বলেছেন, হামাস যদি নিরস্ত্র হয়, তবে তারা সাময়িকভাবে গাজায় থাকতে পারে।
সবশেষ ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, গাজায় তাদের চলমান হামলায় হামাসের শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়েছে। তবে হামাস এখনো এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়নি।
অন্যদিকে, ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা বলেছে, তারা ইসরায়েলের দিকে আরও কয়েকটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, তারা এসব ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে।
ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গাজার একমাত্র ক্যান্সার চিকিৎসাকেন্দ্র ‘তুর্কি-ফিলিস্তিনি ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল’ এবং এর পাশে থাকা একটি মেডিকেল স্কুল ধ্বংস হয়েছে। ইসরায়েল দাবি করেছে, ওই এলাকায় হামাসের উপস্থিতি ছিল।
ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ইসরায়েলি বাহিনীর বিস্ফোরণের ফলে হাসপাতাল ও মেডিকেল স্কুল সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। তবে এই হামলায় হতাহতের সঠিক সংখ্যা এখনো জানা যায়নি।
এদিকে হামাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের একটি নতুন ‘সমঝোতার প্রস্তাব’ পর্যালোচনা করছে। তবে এ প্রস্তাবে কী কী শর্ত অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, তা এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই হামলাকে ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ’ বলে নিন্দা জানিয়েছে। আন্তর্জাতিক মহলে এই হামলার তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর জানিয়েছে, ইসরায়েলের সর্বশেষ হামলায় অন্তত ২০০ শিশু ও ১১০ নারী নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি ভেঙে হামলা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৬০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৪৯ হাজার ৬১৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত ও ১ লাখ ১২ হাজার ৯৫০ জন আহত হয়েছেন। তবে গাজার সরকারি গণমাধ্যম বলছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া হাজারো মানুষসহ মোট নিহতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে।
অন্যদিকে ইসরায়েলের দাবি, গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণে ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত ও ২০০ জনের বেশি মানুষ অপহৃত হন। সূত্র: মিডলইস্ট আই, আলজাজিরা
মন্তব্য করুন