ইরানকে দুই মাসের আলটিমেটাম দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরমাণু ইস্যুতে সমঝোতায় আসার জন্য দেশটিকে তিনি এ আলটিমেটাম দিয়ে একটি চিঠিও দিয়েছেন। এবার ইরানে হামলা হলে কঠোর পরিণতির হুমকি দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।
শুক্রবার ( ২১ মার্চ) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
খামেনি বলেন, ইরানের মুখোমুখি হলে মার্কিন হুমকি কোনো কাজে আসবে না। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দেশটির বিরুদ্ধে সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপের হুমকি দেওয়ার পর তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
টেলিভিশনে দেওয়া বক্তব্যে খামেনি বলেন, তাদের [মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র] এবং অন্যদের জানা উচিত যে তারা যদি ইরানি জাতির ক্ষতি করে এমন কিছু করে, তাহলে তাদের কঠোর চপোটাঘাত করা হবে।
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ইয়েমেনে বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতিদের ছোড়া প্রতিটি গুলি ইরানের আক্রমণ হিসেবে দেখা হবে। তার এ বক্তব্যের পর উত্তেজনা আরও বেড়েছে।
এদিকে ইরানের পরমাণু ইস্যুতে বৈঠকে বসছে যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল। আগামী সপ্তাহের প্রথম দিকে হোয়াইট হাউসে ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রম নিয়ে বৈঠক বসবে। এই বৈঠকের আয়োজন ট্রাম্প প্রশাসনের পূর্ববর্তী ইরানকে পাঠানো চিঠির পরে করা হয়েছে, যেখানে ইরানকে পারমাণবিক চুক্তিতে প্রবেশ করতে অথবা সামরিক কার্যক্রমের মুখোমুখি হতে হুমকি দেওয়া হয়েছিল।
ইসরায়েলের স্ট্র্যাটেজিক অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রী রন ডার্মার ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা তজাচি হানেগবি ওয়াশিংটনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সিনিয়র উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। আলোচনায় মার্কিন-ইরান পারমাণবিক আলোচনা ও ইরানের সাথে সম্পর্কিত আঞ্চলিক বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন