ইসরায়েলি সেনাবাহিনী উত্তর পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থী শিবিরে ৬৬টি ফিলিস্তিনি বাড়ি ভেঙে ফেলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। জেনিন পৌরসভার জনসংযোগ কর্মকর্তা বশির মাতাহিন আনাদোলুকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, দখলদার বাহিনী আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জেনিন শিবিরে ৬৬টি বাড়ি ভেঙে ফেলার নোটিশ জারি করেছে। এমনকি ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বাস্তুচ্যুত বাড়ির মালিকদের তাদের বাড়িঘর ভেঙে ফেলার আগে তাদের জিনিসপত্র বের করতে বাধা দিচ্ছে।
মাতাহিনের মতে, ইসরায়েলি সামরিক মানচিত্রে লাল রঙে সীমানা চিহ্নিত করা হয়েছে। এ সীমানায় রাস্তা প্রশস্তকরণ, জরুরি অফিস স্থাপন এবং ফিলিস্তিনি বাড়িগুলোর ধ্বংসাবশেষের ওপর নতুন রাস্তা নির্মাণ করা হবে। দখলদারদের সামরিক সুবিধা তৈরির অজুহাতে ধ্বংসের জন্য নির্ধারিত বাড়িগুলোকে ওই মানচিত্রে চিহ্নিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, শিবিরে যা ঘটছে তা ইঙ্গিত দেয় যে দখলদাররা দীর্ঘকাল ধরে থাকার ইচ্ছা পোষণ করে। প্রায় ৬০০ বাড়ি ইতিমধ্যেই বসবাসের অযোগ্য করে তুলেছে তারা। এমন ইঙ্গিত রয়েছে যে দখলদারদের লক্ষ্য শিবিরের জনসংখ্যা ৫,০০০-এরও কমে নামিয়ে আনা।
এদিকে গাজার দক্ষিণাঞ্চলের রাফাহ ও উত্তরের বেইত লাহিয়ায় স্থল অভিযান চালানোর ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার অস্ত্রবিরতি ভঙ্গের পর থেকে ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত অন্তত ৫৯০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ক্রমাগত বিমান হামলা ও স্থল অভিযানের কারণে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, হামাস ইসরায়েলের দিকে প্রথমবারের মতো রকেট হামলা চালিয়েছে। এটি যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের পর হামাসের প্রথম পাল্টা পদক্ষেপ। এ ছাড়া ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা জানায়, তারা তেল আবিবের দক্ষিণে অবস্থিত একটি সামরিক স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।
মন্তব্য করুন