মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও অন্য মার্কিন কর্মকর্তাদের সাম্প্রতিক বক্তব্যকে ‘বেপরোয়া ও উসকানিমূলক’ বলে উল্লেখ করেছে ইরান। দেশটি অভিযোগ করেছে যে, তেহরানের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে বলপ্রয়োগের হুমকি দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
সোমবার (১৭ মার্চ) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ইরানের রাষ্ট্রদূত আমির সাঈদ ইরাভানি এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করেন। খবর রয়টার্স।
জাতিসংঘের মহাসচিবকে পাঠানো এক চিঠিতে তিনি জানান, ওয়াশিংটন ইরানের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তেহরানকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে যে, এই চিঠিটি তাদের হাতে এসেছে।
চিঠিতে ইরান স্পষ্টভাবে জানায় যে, তারা ইয়েমেনে অস্ত্র সরবরাহ বা মধ্যপ্রাচ্যে কোনো ধরনের অস্থিতিশীল কর্মকাণ্ডে জড়িত নয়। আমির সাঈদ ইরাভানি বলেন, ইরানের বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমরা এসব অভিযোগ দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছি।
এর আগে, ট্রাম্প তার নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করে হুঁশিয়ারি দেন, এই মুহূর্ত থেকে হুথিদের ছোড়া প্রতিটি গুলি ইরানের অস্ত্র ও নেতৃত্ব থেকে ছোড়া গুলি হিসেবে বিবেচিত হবে এবং ইরানকে দায়ী করা হবে। এর ভয়াবহ পরিণতি হবে।
মার্কিন কর্মকর্তারাও ইরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন যে, তারা ইয়েমেনের হুথিদের অস্ত্র সরবরাহ করছে। তবে তেহরান এসব অভিযোগকে ‘মিথ্যা ও রাজনৈতিক অপপ্রচার’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
ট্রাম্পের এই বক্তব্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ এই পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে এবং মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা কমাতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানিয়েছে। ইরান এই ধরনের ‘বেপরোয়া ও উসকানিমূলক’ মন্তব্যের বিরুদ্ধে জাতিসংঘকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
মন্তব্য করুন