ইয়েমেনে মার্কিন বিমান হামলার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি। তারা এ হামলাকে ‘নির্লজ্জ আগ্রাসন’ বলে আখ্যা দিয়েছে এবং অভিযোগ করেছে, যুক্তরাষ্ট্র গাজায় ইসরায়েলের অন্যায় অবরোধকে উৎসাহিত করছে।
রোববার (১৬ মার্চ) সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ইয়েমেনে ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে মার্কিন সামরিক বাহিনী।
প্রতিবেদনে বলা হয়, হামলায় নারী-শিশুসহ নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১ জনে পৌঁছেছে, আহত হয়েছে আরও ১০১ জন। মূলত, গাজা উপত্যকা নিয়ে ইসরায়েলকে হুমকি দেওয়ার পরই ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথিদের অবস্থান লক্ষ্য করে স্থানীয় সময় শনিবার (১৫ মার্চ) রাতে এ হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের এই হামলার কঠোর সমালোচনা করে হুথি মুখপাত্র বলেন, ইয়েমেনে মার্কিন হামলা একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে স্পষ্ট আগ্রাসন এবং এটি ইসরায়েলকে গাজায় অন্যায়ভাবে অবরোধ অব্যাহত রাখতে উৎসাহিত করছে।
তিনি আরও বলেন, বাব আল-মান্দেব প্রণালীতে আন্তর্জাতিক নৌ-পরিবহনের জন্য হুমকি সম্পর্কে মার্কিন প্রেসিডেন্ট যা দাবি করেছেন তা ভিত্তিহীন এবং আন্তর্জাতিক জনমতকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা।
হুথি মুখপাত্র দাবি করেন, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত অনুযায়ী গাজার জনগণের কাছে মানবিক সহায়তা পৌঁছে না দেওয়া পর্যন্ত আমাদের সামুদ্রিক নিষেধাজ্ঞা কেবল ইসরায়েলি নৌ-পরিবহনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে।
তিনি আরও জানান, লোহিত সাগরে ইসরায়েল-সংযুক্ত জাহাজগুলোকে সতর্ক করা হয়েছিল এবং চার দিনের সময়সীমা পার হওয়ার পর হুথিরা হামলা চালিয়েছে।
হুথি মুখপাত্র জোর দিয়ে বলেন, আমরা নিশ্চিত করছি যে ইয়েমেনি দিক থেকে লোহিত সাগরে আন্তর্জাতিক নৌযান চলাচল নিরাপদ থাকবে। তবে মার্কিন অভিযান লোহিত সাগরের সামরিকীকরণ করছে, যা এই অঞ্চলে আন্তর্জাতিক নৌপরিবহনের জন্য প্রকৃত হুমকি।
ইসরায়েলি অবরোধের বিরুদ্ধে হুথিদের কড়া অবস্থানের পরই যুক্তরাষ্ট্রের এই হামলা চালানো হয়, যা মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলেছে। বিশ্লেষকদের মতে, এ ধরনের হামলা ইয়েমেনের সংঘাতকে আরও জটিল করে তুলবে এবং গাজার মানবিক সংকট আরও গভীর হতে পারে।
মন্তব্য করুন