ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথিদের লক্ষ্য করে ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ হামলায় নারী-শিশুসহ কমপক্ষে ৩১ জন নিহত এবং শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ইরান ওয়াশিংটনকে মধ্যপ্রাচ্যে সহিংসতা ছড়ানো বন্ধ করার আহ্বান করে।
রোববার (১৬ মার্চ) সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, হুতিদের ওপর হামলার ঘটনায় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ইরানের পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারণের কোনো অধিকার নেই যুক্তরাষ্ট্রের। ১৯৭৯ সালেই সেই যুগের অবসান হয়েছে।
তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেয়া এক পোস্টে আরও বলেন, ৬০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার জন্য আমেরিকা সম্পূর্ণরূপে দায়বদ্ধ। ইসরায়েলি গণহত্যা ও সন্ত্রাসবাদের প্রতি সমর্থন বন্ধ করুন। ইয়েমেনি জনগণকে হত্যা বন্ধ করুন।
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুতিদের লোহিত সাগরে জাহাজে হামলা বন্ধ করতে আহ্বান জানিয়েছেন। অন্যথায় কঠোর প্রতিক্রিয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
হুথিদের প্রধান মিত্র ইরানকে হুমকি দিয়ে ট্রাম্প বলেন, ইরানকে অবিলম্বে হুতিদের সমর্থন দেওয়া বন্ধ করতে হবে। যদি ইরান যুক্তরাষ্ট্রকে হুমকি দেয়, তাহলে আমেরিকা কঠোর জবাব দেবে। এটা ইরানের জন্য ভালো হবে না।
প্রতিবেদনে আল জাজিরা জানায়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্দেশে স্থানীয় সময় শনিবার (১৫ মার্চ) রাত থেকে ইয়েমেনে হুতিদের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা শুরু করে মার্কিন সামরিক বাহিনী। লোহিত সাগরে মার্কিন ও মিত্রদেশগুলোর বাণিজ্যিক জাহাজে হুতিদের হামলার জবাবে এ অভিযান চালানো হয়।
একজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, এই হামলা কয়েক দিন, এমনকি কয়েক সপ্তাহ ধরে চলতে পারে।
হুথি রাজনৈতিক ব্যুরো এক বিবৃতিতে বলে, আমেরিকার এই কাপুরুষোচিত আগ্রাসন আমাদের ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে দাঁড়ানোর নীতিকে পরিবর্তন করবে না। তারা আরও জানিয়েছে, এই হামলার পাল্টা জবাব দেয়া হবে এবং ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী যে কোনো ধরনের সংঘাতের জন্য প্রস্তুত।
গাজায় ইসরায়েলি অবরোধ বন্ধ না হলে ইরান সমর্থিত হুতিরা ইসরায়েলি জাহাজে নতুন করে হামলার হুমকি দিয়েছিল। এর মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র ইয়েমেনে হামলা চালালো, যা মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন