কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১১ মার্চ ২০২৫, ১০:৫১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

গাজা ছাড়তে হবে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের : মার্কিন দূত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ। ছবি : সংগৃহীত
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ। ছবি : সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে অস্ত্র সমর্পণ করতে হবে এবং গাজা ছেড়ে যেতে হবে। এমনটাই জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ।

সোমবার (১০ মার্চ) ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত হামাসের সামরিক শাখা অস্তিত্ব বজায় রাখবে এবং ইসরায়েলের জন্য হুমকি হিসেবে থাকবে, ততক্ষণ শান্তি অর্জন সম্ভব নয়।

তিনি আরও বলেন, গাজা ছেড়ে যাওয়া ছাড়া তাদের (হামাস) জন্য যৌক্তিক ও যুক্তিসংগত কোনো বিকল্প নেই। যদি তারা গাজা ছাড়ে, তাহলে আলোচনার মাধ্যমে শান্তি চুক্তিতে পৌঁছানোর সব সম্ভাবনা তৈরি হবে।

বর্তমানে কাতারের রাজধানী দোহায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা চলছে। ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে একটি সমঝোতায় পৌঁছানোর লক্ষ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করছে কাতার, মিশর ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে আলোচনার বিস্তারিত তথ্য এখনো জানা যায়নি।

এর আগে মিসরের কায়রোতে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে হামাস তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। তারা দ্বিতীয় ধাপে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে, যেখানে দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের বিষয়ে আলোচনা হবে।

তবে ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে আলোচনা জটিল হয়ে উঠেছে। ৩১ মার্চের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারকে বাজেট পাস করাতে হবে। যদি তিনি যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপে সম্মতি দেন, তাহলে কট্টর ডানপন্থি মিত্ররা বাজেট পাস আটকে দিতে পারে, যা সরকারের পতনের কারণ হতে পারে। এ কারণে নেতানিয়াহু আপাতত চলমান যুদ্ধবিরতির মেয়াদ রমজান মাস পর্যন্ত বাড়ানোর পক্ষে রয়েছেন।

এদিকে কাতারের দোহায় আলোচনার মধ্যেই মঙ্গলবার (১১ মার্চ) গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ছয় ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে পাঁচজন মধ্য গাজার নেতজারিম করিডর এলাকায় এবং একজন দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফায় নিহত হন।

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া সংঘাতে এ পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৪৮ হাজার ৫০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

উপত্যকায় ত্রাণ ও পণ্যের প্রবেশে অবরোধের কারণে গাজায় মানবিক সংকট চরমে পৌঁছেছে। ইসরায়েল ত্রাণ ও জ্বালানির প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়ায় অধিকাংশ এলাকা অন্ধকারে নিমজ্জিত। অনেক বেকারি বন্ধ হয়ে গেছে, খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।

বিশ্লেষকদের মতে, হামাস ও ইসরায়েলের অবস্থান একে অপরের বিপরীত হওয়ায় যুদ্ধবিরতির দীর্ঘমেয়াদি সমাধান এখনো অনিশ্চিত। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। গাজায় ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে দ্রুত একটি সমঝোতায় পৌঁছানোই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মার্কিন সমঝোতায় রাজি, ইউক্রেন পাচ্ছে নতুন সামরিক সহায়তা

কিশোরীকে গণধর্ষণে তিনজনের যাবজ্জীবন

মাদ্রাসাছাত্র হত্যা / সাবেক এমপি সোলাইমান সেলিম ফের রিমান্ডে 

দুবছরে ৫০ লাখ টাকার চারা বিক্রি, তাক লাগালেন ইলিয়াস

সাবেক মন্ত্রী কামাল ইবনে ইউসুফের স্ত্রী মারা গেছেন

আলোচনায় বসব না, যা খুশি করুন : ট্রাম্পকে বললেন পেজেশকিয়ান

মুন্সীগঞ্জে বিদেশি পিস্তলসহ যুবক গ্রেপ্তার

পলকসহ নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের দুই নেতা রিমান্ডে 

শিশু ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে জেলেকে গণপিটুনি

উদ্ধার অভিযান চলছে / পাকিস্তানে সেই ট্রেন থেকে ১০০ জিম্মি উদ্ধার, নিহত ১৬ বিদ্রোহী

১০

আগামীকাল ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়

১১

চাকরি দিচ্ছে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল, থাকছে না বয়সসীমা

১২

প্রতিদিন বিনামূল্যে ৭০০ রোজাদারের ইফতার

১৩

সড়ক দুর্ঘটনায় শ্রমিক নিহত, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ

১৪

অ্যাপেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী মারা গেছেন

১৫

পাকিস্তানে ট্রেনে হামলা / নারী-শিশুদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে হামলাকারীরা

১৬

নারীসহ মাদক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তার ইয়াবা সেবনের ছবি ভাইরাল

১৭

আটক ‘ডাকাতকে’ ছাড়িয়ে নিতে ছাত্রদল নেতার থানা ঘেরাও

১৮

লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিকের শিক্ষক সোবহানকে পুলিশে দিলেন শিক্ষার্থীরা

১৯

সীমান্তে আটক ২ বাংলাদেশিকে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ

২০
X