বিদেশি শক্তির মাধ্যমে ব্যবহৃত ভিন্নমতাবলম্বীদের বিষয়ে নতুন সিদ্ধান্ত জানিয়েছে সৌদি আরব। দেশটিতে বিদেশি শক্তি দ্বারা ব্যবহৃত হয়ে যারা রাজ্যের ক্ষতির চেষ্টা করেছে তাদের দেশে ফিরে আসার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
সোমবার (০৩ মার্চ) সৌদি গেজেটের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সৌদি আরবের স্টেট সিকিউরিটির প্রেসিডেন্ট আব্দুল আজিজ আল হোয়াইরিনি বলেছেন, যেসব ভিন্নমতাবলম্বী বহিরাগত শক্তি দ্বারা ব্যবহৃত হয়েছেন তারা কোনো গুরুতর অপরাধ না করলে তাদের দেশে ফিরে আসার অনুরোধ জানানো হয়েছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, রাষ্ট্র শাস্তির চেয়ে পুনর্বাসনের ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। তাদের ফিরে আসার বিষয়টি প্রকাশ করা হবে না।
রোববার এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে আল হোয়াইরিনি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের নির্দেশনা উল্লেখ করে বলেন, যারা ভুল পথে পরিচালিত হয়েছিল এবং অন্যের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়েছিল, তাদের জন্য একটি উন্মুক্ত আমন্ত্রণ রয়েছে। তিনি নিশ্চিত করেন, সৌদি আরব তাদের কোনো শাস্তি ছাড়াই ফিরে আসার সুযোগ দিচ্ছে, যদি তাদের বিরোধিতা শুধু আদর্শিক প্রভাবের পর্যায়ে থাকে এবং তারা দেশের ভেতরে কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত না থাকে।
আল হোয়াইরিনি ফিরে আসার ইচ্ছুক ব্যক্তিদের জন্য প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করে বলেন, তারা নির্ধারিত নম্বর (৯৯০) এ যোগাযোগ করে তাদের পরিচয় এবং অবস্থান জানাতে পারেন, যাতে তাদের সহায়তা করা যায়। অন্যথায়, তারা পরিবারের কোনো সদস্যকে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করার জন্য অনুমোদন দিতে পারেন। তিনি আরও যোগ করেন, সৌদি দূতাবাসগুলো সারা বিশ্বে তাদের নিরাপদে ফিরে আসার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
এমবিসির হিকায়াত ওয়াদ (প্রমিস স্টোরি) প্রোগ্রামে আল হোয়াইরিনি জানান, রাষ্ট্র ফিরে আসা ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ করবে না। কেননা রাজ্যের পুনর্বাসনের প্রতিশ্রুতি আরও শক্তিশালী করে। তিনি সৌদি সমাজের ভূমিকাও তুলে ধরেন, যা চরমপন্থা এবং সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তিনি প্রকাশ করেন যে, দেশের প্রায় ২০ শতাংশ বন্দিকে তাদের পরিবারের অনুরোধে বা পরিবারের সাথে সমন্বয় করে আটক করা হয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, পরিবারগুলো ক্রমেই বুঝতে পারছে, রাষ্ট্র তার নাগরিকদের চরমপন্থিদের দ্বারা ব্যবহার হওয়া থেকে রক্ষা করতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। প্রোগ্রামের সর্বশেষ পর্বে সৌদি আরবের সন্ত্রাসবিরোধী প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করা হয়, যেখানে শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তারা দেশের চরমপন্থা মোকাবিলায় সাম্প্রতিক অগ্রগতি সম্পর্কে তথ্য জানানো হয়।
মন্তব্য করুন