ইসরায়েল পবিত্র রমজান মাসে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় সব ধরনের ত্রাণ ও পণ্য সরবরাহ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরায়েলের সিদ্ধান্তকে ‘সস্তা ব্ল্যাকমেইল’ এবং যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিরুদ্ধে ‘অভ্যুত্থান’ বলে অভিহিত করেছে।
রোববার (২ মার্চ) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে হামাস সংগঠনটি এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি পদক্ষেপকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ এবং ‘চুক্তির ওপর নির্লজ্জ আক্রমণ’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। হামাস আরও জানিয়েছে, গাজার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা বন্ধ করতে এবং এ বিষয়ে ইসরায়েলকে বাধ্য করতে তারা মধ্যস্থতাকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
অপরদিকে, ইসরায়েল সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হামাস যদি যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য মার্কিন প্রস্তাব গ্রহণ না করে, তবে ‘অতিরিক্ত পরিণতি’ ভোগ করতে হবে। এতে স্পষ্টভাবে ইসরায়েল হামাসকে কঠোর সতর্কতা জারি করেছে, বিশেষ করে পবিত্র রমজান মাসে যখন গাজায় খাবার এবং অন্যান্য জরুরি পণ্যের চাহিদা থাকে।
এদিকে রোববার (২ মার্চ) থেকে গাজার দিকে কোনো পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করেনি, যার ফলে মানবিক সহায়তার প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে, যা গাজার জনগণের জন্য একটি বড় সংকট তৈরি করেছে। হামাস এই পদক্ষেপকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন হিসেবে সমালোচনা করেছে এবং দাবি করেছে, এটি ফিলিস্তিনিদের ওপর আরো চাপ সৃষ্টি করার একটি অমানবিক প্রচেষ্টা।
হামাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সামি আবু জুহরি এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, ইসরায়েলের এই পদক্ষেপ আলোচনা প্রক্রিয়াকে আরও জটিল করে তুলবে এবং ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী কোনো ধরনের চাপের সামনে মাথা নত করবে না।
ফিলিস্তিনের জনগণের জন্য এই পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে, বিশেষত রমজান মাসে যখন মানবিক সহায়তার প্রয়োজনীয়তা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এই সংকট সমাধানের জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে হামাস।
মন্তব্য করুন