নোয়া আরগামানি। ইসরায়েলি এক সাবেক নারী জিম্মি। তাকে এবং তার সঙ্গীকে দক্ষিণ ইসরায়েলের একটি সংগীত উৎসব থেকে হামাস ধরে নিয়ে যায়। এর আট মাস পর গত বছরের জুনে ইসরায়েলি বাহিনী নোয়াকে উদ্ধার করে। মঙ্গলবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে দাঁড়িয়ে তিনি তার জিম্মি অবস্থা থেকে বেঁচে ফেরার রোমহর্ষক বর্ণনা দেন। বলেন, তার বেঁচে ফেরা কেবল অলৌকিক।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে দাঁড়িয়ে নোয়া জানান, কীভাবে তাকে জিম্মি করে রাখা একটি বাড়ি উড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল এবং ধ্বংসস্তূপের মধ্যে তিনি আটকা পড়েছিলেন। তার বক্তব্যে তাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার বিভৎস বর্ণনা উঠে আসে।
নোয়া বলেন, তিনি ভাবতেও পারেননি যে সেখান থেকে বেঁচে ফিরতে পারবেন। নোয়া বলেন, ‘আমি নড়াচড়া করতে পারছিলাম না। শ্বাস নিতে পারছিলাম না। আমার মনে হচ্ছিল এটা আমার জীবনের শেষ মুহূর্ত হতে চলেছে। আজ আপনার সঙ্গে এখানে থাকাটা একটা অলৌকিক ঘটনা।’ তিনি জানান, উভয় পক্ষেরই অসংখ্য মানুষ ট্রমাগ্রস্ত হয়েছে। উভয়পক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত, ধ্বংসপ্রাপ্ত। উভয়েরই এই বেদনা অনস্বীকার্য।
তিনি বলেন, আমাকে নিশ্চিত করতে হবে যে বিশ্ব এটি জানছে। তা হলো যুদ্ধবিরতি চুক্তিটি সম্পূর্ণরূপে মেনে চলতে হবে। একে কার্যকর করতে হবে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার সময় তাদের আটক করে নিয়ে আসে হামাস। তবে তার সঙ্গী আভিনাতান ওর, এখনো জিম্মি অবস্থায় আছেন এবং ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির দ্বিতীয় পর্যায়ে তাকে মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে। গাজায় ১৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হয় প্রথম পর্যায়ের যুদ্ধবিরতি, যা শনিবার শেষ হবে।
এরই মধ্যে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে অনেক ইসরায়েলি জিম্মিকে হস্তান্তর করেছে হামাস। তবে যুদ্ধবিরতির পরবর্তী ধাপ নিয়ে এখনো সমাধানে আসতে পারেননি আলোচকরা। এর আগে ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হলেও বিনিময়ে শত শত ফিলিস্তিনিকে এখনো ছাড়েনি ইসরায়েল। হামাসের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি অভিযোগ এনে তারা তা স্থগিত করে। এদিকে হামাস এখনো কয়েক ডজন জিম্মি ধরে রেখেছে। তাদের মুক্তি না দিলে যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেস্তে যাওয়ার শঙ্কায় গাজাবাসী।
মন্তব্য করুন