ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরানের ওপর সর্বোচ্চ আর্থিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপরই পাল্টা পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছে ইরান। যুক্তরাষ্ট্র ইট মারলে বিপরীতে পাটকেল ছুড়তে চান আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। তবে এ জন্য সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানবে না তেহরান। বরং মধ্যপ্রাচ্যে নিজের পরম শত্রু ইসরায়েলকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে চায় ইসলামি প্রজাতন্ত্রটি।
ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার আগে গত বছর দুই দফা ইসরায়েলে বড় ধরনের হামলা চালায় ইরান। দুবারই আকাশপথে চালানো এই হামলায় অপ্রস্তুত হয়ে গিয়েছিল ইসরায়েল। এমনকি ইসরায়েলকে বাঁচাতে এগিয়ে আসে বহুজাতিক বাহিনী। তারপরও ইরানের হামলা ঠেকানো যায়নি।
ইরানের আগ্রাসী পদক্ষেপে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে ইসরায়েল। তবে গেল জানুয়ারিতে ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর ভরসা ফিরে পান নেতানিয়াহু। অন্যদিকে ইরান থেমে আছে এমনটাও নয়। দেশটির ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর জেনারেল ইব্রাহিম জাব্বারি ভাষায়, উপযুক্ত সময়ে অপারেশন ট্রু প্রমিজ থ্রি চালাবে তারা। এতটা নিখুঁত ও বড় পরিসরে এই হামলা চালানো হবে যা ইসরায়েল গুঁড়িয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট হবে।
এদিকে ইরানের এমন হুঙ্কারে চুপ বসে নেই ইসরায়েলও। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদেওন সার ইরানকে লক্ষ্য করে পাল্টা হুমকি দিয়েছেন। মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে এক পোস্টে তিনি লিখেন, ইহুদি জনগণ যদি ইতিহাস থেকে কিছু শিখে থাকে, তা হলো- যদি আপনার শত্রু বলে যে তার লক্ষ্য আপনাকে ধ্বংস করা, তাকে বিশ্বাস করুন। আমরা প্রস্তুত।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইরানের পক্ষ থেকে গণহত্যার এই হুমকি গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া উচিত। ইরান ও তার মিত্র ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের হুমকি গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হলে ৭ অক্টোবরের হামলা ঠেকানো যেত। শুধু ইসরায়েলকে গুঁড়িয়ে দেওয়াই নয়, ইরানের মিত্র ইয়েমেনকেও যুক্তরাষ্ট্র কিছু করতে পারবে না বলে হুঁশিয়ার উচ্চারণ করেছেন জাব্বারি। এর আগে ট্রাম্প ইয়েমেনের বিদ্রোহীদের দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন।
নিজের ক্ষমতার প্রথম মেয়াদের একেবারে শেষদিকে এসে ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা জেনারেল কাশেম সোলাইমানিকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন ট্রাম্প। ২০২০ সালের ওই ঘটনার পর ইরান ট্রাম্পের ওপর ব্যাপক ক্ষুব্ধ হয়। ফক্স নিউজ এক প্রতিবেদনে বলছে, ইরাক যুদ্ধে নিহত হওয়া যুক্তরাষ্ট্রের ৬ শতাধিক সেনার মধ্যে ১৭ শতাংশের মৃত্যুর পেছনে সোলাইমানির ভূমিকা ছিল।
মন্তব্য করুন