গাজা যুদ্ধবিরতির শর্তানুযায়ী, ইসরায়েলকে চার জিম্মির মরদেহ ফেরত দেওয়ার পর ইসরায়েল অভিযোগ করেছে যে, হামাসের দেওয়া কফিনগুলোর মধ্যে শিরি বাইবাস নামে এক নারীর মরদেহ ছিল না। তবে হামাস এই অভিযোগের জবাব দিয়েছে।
হামাস বলছে, শিরি বাইবাস এবং অন্যান্য কয়েকজন জিম্মি ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন এবং তাদের দেহাবশেষ একে অপরের সাথে মিশে গেছে।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে হামাস দাবি করেছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় শিরি বাইবাসসহ একাধিক জিম্মি নিহত হন। তাদের দেহাবশেষ একসাথে মিশে যাওয়ায় আলাদা করা সম্ভব হয়নি।
হামাসের একজন কর্মকর্তা ইসমাইল আল-থাওয়াবতেহ জানিয়েছেন, জিম্মিদের যেখানে রাখা হয়েছিল, সে ভবনটি ইসরায়েলি বিমান হামলায় ধ্বংস হয়ে যায়। ফলে শিরি বাইবাসের মরদেহ আলাদা করে ফেরত দেওয়া সম্ভব হয়নি।
গত বছর হামাস জানিয়েছিল যে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় শিরি বাইবাস, তার দুই সন্তান অ্যারিয়েল ও কেফির নিহত হয়েছেন।
গাজা যুদ্ধবিরতির শর্তে গতকাল প্রথমবারের মতো ইসরায়েলকে জিম্মিদের মরদেহ ফেরত দিয়েছে হামাস। চারটি কফিন পাঠানো হয়, যার মধ্যে দুই শিশু এবং তাদের মা শিরি বাইবাসের মরদেহ ছিল বলে দাবি করা হয়েছিল। কফিনগুলোতে নিহত ব্যক্তিদের ছবি ছিল।
তবে ইসরায়েল অভিযোগ করেছে, শিরি বাইবাসের মরদেহ যে কফিনে থাকার কথা ছিল, সেখানে একটি অজ্ঞাত নারীর মরদেহ ছিল।
ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানিয়েছে, তারা মরদেহগুলো পরীক্ষা করেছেন এবং নিশ্চিত হয়েছেন যে, শিরি বাইবাসের কফিনে পাওয়া মরদেহ শিরির নয়। এর সাথে কোনো নারীর ডিএনএও মেলেনি, যিনি জিম্মি তালিকায় ছিলেন।
এদিকে, মরদেহ হস্তান্তর প্রক্রিয়া নিয়েও সমালোচনা হচ্ছে। হামাস সাধারণ ফিলিস্তিনি এবং তাদের সদস্যদের উপস্থিতিতে মরদেহগুলো ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তর করেছে। জাতিসংঘ এভাবে মরদেহ প্রদর্শন করাকে নিন্দা জানিয়েছে।
জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টেফানি ডুজারিক বলেছেন, জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছেন এবং বলেছে, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী মরদেহ হস্তান্তর করার সময় মৃত ব্যক্তির সম্মান এবং তার পরিবারের সম্মান নিশ্চিত করা উচিত।
মন্তব্য করুন