ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরে নতুন করে অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এ সময় এলাকা ঘেরাও করে কমপক্ষে ২৫ জন ফিলিস্তিনিকে আটক করে তারা। চলতি মাসে এর আগেও ইসরায়েলি বাহিনী এ ধরনের গণগ্রেপ্তার অভিযান পরিচালনা করেছিল। সোমবার বন্দিবিষয়ক গোষ্ঠীগুলো আনাদোলু এজেন্সিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বন্দিবিষয়ক কমিশন এবং ফিলিস্তিনি প্রিজনার সোসাইটি এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে, হেবরন এবং রামাল্লাহর বেশ কয়েকটি এলাকায় অভিযান চালায় দখলদার বাহিনী। আটকদের মধ্যে অপ্রাপ্তবয়স্ক এবং প্রাক্তন বন্দিরাও আছেন। ২১ জানুয়ারি থেকে উত্তর-পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সামরিক অভিযানে কমপক্ষে ৫৫ জন নিহত এবং হাজার হাজার লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় এই গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটল।
বিবৃতি অনুসারে, গত মাস থেকে এ পর্যন্ত জেনিনে কমপক্ষে ১৬০ জন এবং উত্তর পশ্চিম তীরের তুলকারেমে ১৩০ জন ফিলিস্তিনিকে ইসরায়েলি বাহিনী গ্রেপ্তার করেছে। নতুন গ্রেপ্তারের ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী কর্তৃক আটক ফিলিস্তিনির সংখ্যা ১৪,৫০০-এরও বেশি ছাড়াল। আটকদের মধ্যে ইসরায়েলি কারাগার থেকে ছাড়া পাওয়া ব্যক্তিরাও রয়েছেন।
এ তালিকায় গাজা থেকে আটকদের সংখ্যা অন্তর্ভুক্ত নয়। গাজার ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে প্রতিদিনই নতুন লাশ পাওয়া যাচ্ছে। ১৬ ফেব্রুয়ারি আরও ছয়জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে এবং এ পর্যন্ত নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৪৮,২৭১ জনে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
অপরদিকে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে প্রায় এক হাজার নতুন অবৈধ বসতি নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে ইসরায়েল। বেথলেহেমের দক্ষিণে অবস্থিত কৌশলগত এলাকা ইফ্রাত বসতিতে এই নতুন আবাসন ইউনিটগুলো নির্মাণের জন্য একটি দরপত্র জারি করেছে নেতানিয়াহু প্রশাসন।
জানা গেছে, ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ পশ্চিম তীরে ৯৭৪টি নতুন আবাসন নির্মাণের পরিকল্পনা করছে। ইসরায়েলি ওয়াচডগ ‘পিস নাউ’-এর তথ্য অনুযায়ী, এসব আবাসন ইউনিট নির্মাণের ফলে ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদের সংখ্যা প্রায় ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।
মন্তব্য করুন