সৌদিতে ব্যাপক ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আগামী বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত এ পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এজন্য সতর্কতাও জারি করা হয়েছে।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সৌদি আরবের জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্র (এনসিএম) জানিয়েছে, আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। এ সময়ে রিয়াদ, হাইল, আল কাসিম, পূর্বাঞ্চল, উত্তর সীমান্ত, মক্কা এবং মদিনা অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মক্কা অঞ্চলে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পাশাপাশি তীব্র বাতাসের কারণে ধুলিঝড় ও বালুঝড় হতে পারে। এছাড়া আকস্মিক বন্যা ও শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। মক্কার তায়েফ, ময়সান, আদহাম, আল আরদিয়াত, আল মুওয়াইহ, খুরমা, রানিয়াহ, তুরুবাহ, বাহরাহ, আল জুমুম, খুলাইস এবং আল কামিল অঞ্চলগুলোতেও এই আবহাওয়ার প্রভাব পড়তে পারে।
এনসিএম আরও জানিয়েছে, আল বাহা অঞ্চলের বেশিরভাগ এলাকায় মঙ্গলবার পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। এছাড়া রিয়াদ, আল কাসিম, হাইল, নাজরান, পূর্বাঞ্চল, মদিনা, উত্তর সীমান্ত এবং আল জাওফ অঞ্চলেও একই ধরনের আবহাওয়া পরিলক্ষিত হতে পারে। এসব অঞ্চলে শক্তিশালী ও তীব্র বাতাসের কারণে ধুলি ও বালুঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে।
এনসিএম জনগণকে আবহাওয়াসংক্রান্ত সর্বশেষ তথ্য ও আপডেটের জন্য তাদের যোগাযোগ চ্যানেলগুলো অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়েছে। পাশাপাশি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে।
একটি পৃথক প্রতিবেদনে আবহাওয়া কেন্দ্র জানিয়েছে, জেদ্দা, শুয়াইবা এবং আল লিথ অঞ্চলে ৪০ থেকে ৪৯ কিমিমিটার বেগে বাতাস বইতে পারে। ফলে দৃশ্যমানতা কমে যেতে পারে এবং সমুদ্র উত্তাল হতে পারে। এতে করে সামুদ্রিক নৌচলাচল ব্যাহত করতে পারে। এসব অঞ্চলে আজ সকাল ৯টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
এছাড়াও, আজান অঞ্চলে আজ রাত ২টা থেকে সন্ধ্যা ৮টা পর্যন্ত হালকা বৃষ্টি ও তীব্র বাতাসের সম্ভাবনা রয়েছে। মক্কার কিছু অংশ, বিশেষ করে জেদ্দা অঞ্চলে, দুপুর ১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বাতাস ও বৃষ্টিপাত হতে পারে। রিয়াদের সিলেল ও ওয়াদি আল দাওয়াসির মতো অঞ্চলে বিকাল ৩টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া কেন্দ্র জানিয়েছে, এ সময়ে সকলকে সতর্ক থাকার জন্য বিশেষ করে গাড়ি চালানোর সময় সাবধানতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। এছাড়া বন্যা প্রবণ এলাকাগুলো এড়িয়ে চলতে অনুরোধ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন