কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:২৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

প্লেন ভরে রাশিয়া থেকে টাকা এলো সিরিয়ায়

রাশিয়ার ভোলগা-ডনেপার বিমান সংস্থার একটি বিমান। ছবি : সংগৃহীত
রাশিয়ার ভোলগা-ডনেপার বিমান সংস্থার একটি বিমান। ছবি : সংগৃহীত

বাশার আল আসাদের ফেলে যাওয়া ভঙ্গুর অর্থনীতির কারণে বিপাকে পড়েছে সিরিয়া। দেশটির সরকারি কর্মকর্তাদের বেতনও দিতে পারছে না অন্তর্বর্তী সরকার। এমতাবস্থায় অর্থ জোগাড়ের জন্য মরিয়া হয়ে উঠছিল দামেস্ক। তবে সে সমস্যার আপাতত সমাধান মিলেছে। রাশিয়া থেকে সিরিয়ায় এসেছে হাজার হাজার কোটি সিরিয়ান পাউন্ড। এর আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় রাশিয়া থেকে আসা বিপুল পরিমাণ অর্থের খবর চাউর হয়েছিল।

আশা জাগানিয়া মনে হলেও রাশিয়া থেকে আসা অর্থের মূল্যমান খুবই কম। ঠিক কী পরিমাণ অর্থ এসেছে তা নিয়েও ভুল তথ্য ছড়িয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। পরে শুক্রবার সিরিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, তারা রাশিয়া ফেডারেশনের কাছ থেকে ৩ হাজার কোটি সিরিয়ার পাউন্ড পেয়েছে। সোশ্যালে ছড়িয়ে পড়া তথ্যের সঙ্গে রাশিয়া থেকে আসা অর্থের পরিমাণের কোনো মিল নেই বলেও নিশ্চিত করেছে সিরিয়া।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিবৃতিতে বলা হয়, সিরিয়া ও দেশটির জনগণের অধিকারের টাকা শুক্রবার দেশে পৌঁছেছে। ক্ষমতাচ্যুত সরকার ও রাশিয়ার সঙ্গে যে চুক্তি সই হয়েছিল, তার অংশ হিসেবেই এ অর্থ সিরিয়ায় এসেছে। এই বিপুল পরিমাণ অর্থ গেল বছর শেষ হওয়ার আগেই সিরিয়ায় পৌঁছানোর কথা ছিল। তবে ডিসেম্বরের শুরুর দিকে বিদ্রোহীদের অভিযানের মুখে ক্ষমতা ছেড়ে পালিয়ে যান বাশার আসাদ।

সিরিয়ার সাবেক এই প্রেসিডেন্ট দেশটির টাকা রাশিয়া থেকে ছাপিয়ে আনার রীতি বানিয়ে ফেলেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় নতুন মুদ্রিত এই অর্থ সিরিয়ায় এলো। সামনের মাসগুলোতে এই অর্থের পরিমাণ আরও বাড়বে বলেও জানাচ্ছে সিরিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এই বিপুল পরিমাণ অর্থ রাশিয়া থেকে প্লেনে করে দামেস্কের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।

চলতি বছরের শুরু থেকেই সিরিয়ার বাজারে পাউন্ডের সংকট দেখা দেয়। দেশটিতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে সিরিয়ান পাউন্ডের সরবরাহ কমে যায়। ডলারের বিপরীতে দুর্বল হয়ে পড়ে সিরিয়ান পাউন্ড। দুই মুদ্রার বিনিময় হারে আকাশ-পাতাল তফাৎ দেখা দেয়। দেশটিতে ডলারপ্রতি ৯ থেকে ১০ হাজার সিরিয়ান পাউন্ড বিনিময় হচ্ছে। এমনকি ব্যাংকের এটিএমগুলোয় পর্যাপ্ত ছাপা টাকা নেই। তাই টানা দ্বিতীয় মাসের মতো টাকা তুলতে পারছে না লাখ লাখ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী।

তবে সহসাই এই পরিস্থিতির উন্নতি হবে না বলেই মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। উৎপাদন শুরু এবং বিনিয়োগ না বাড়লে অর্থনীতির অবস্থা নাজুকই থাকবে। আবার নির্বাচিত সরকার না এলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল শারা বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না। আর অর্থনীতিকেও এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে না। যদিও সম্প্রতি বিভিন্ন দেশ দামেস্কের ওপর থাকা নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে; তবুও দামেস্কের অর্থনীতির সংকটের সমাধান সময়সাপেক্ষ।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মোহাম্মদপুরে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলিতে দুজনের মৃত্যু

তারেক রহমানকে নিয়ে বইয়ের মোড়ক উন্মোচন

‘সীমান্তে হত্যা কোনোভাবেই ন্যায্য নয়, একতরফা সিদ্ধান্তে বেড়া স্থাপন’

‘একটা মুনাফেকি ছাত্র সংগঠনের নেতারা আন্ডারগ্রাউন্ড রাজনীতির সঙ্গে জড়িত’

বিজিবির বাধার মুখে বাঙ্কার সরিয়ে নিল বিএসএফ

বিয়ের বাজার শেষে ফেরার পথে বর নিহত

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘অন ক্যাম্পাস অনার্স প্রোগ্রাম’ বন্ধের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

হার দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু পাকিস্তানের

বিএনপি নেতাকে গুলি করে হত্যা, আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার

‘সাধুসঙ্গ হওয়া খুব জরুরি, না হলে বিলুপ্ত হয়ে যাবে’ 

১০

শেকৃবিতে শিবিরের প্রকাশনা উৎসব বন্ধের নির্দেশ

১১

ছাত্রলীগ নেতা হাসনাত গ্রেপ্তার

১২

ববিতে নিরাপত্তার স্বার্থে সন্ধ্যার পর বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ

১৩

‘শিশু শিক্ষার্থীদের সামনে দেশের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে’

১৪

অপপ্রচার ঠেকাতে ইসির পাশে মার্কিন প্রতিষ্ঠান

১৫

‘এককভাবে কেউই দেশের নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না’

১৬

রংপুরে নদীকে বিল বানিয়ে ইজারা : বেলার লিগ্যাল নোটিশ

১৭

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫ / দুবাইয়ের পিচ কেমন হবে, ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচে কারা সুবিধা পাবে?

১৮

নতুন নজরদারি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র উন্মোচন করল ইরান

১৯

এনসিটিবি’র রাখাল রাহার অপসারণ দাবি ১৫০ আলেমের

২০
X