কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:০৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

জর্ডান সীমান্তে সৈন্য সমাবেশ করছে ইসরায়েল

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর ট্যাংক বহর। ছবি : সংগৃহীত
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর ট্যাংক বহর। ছবি : সংগৃহীত

বাড়ছে আরেকটি যুদ্ধের শঙ্কা। এবার জর্ডান সীমান্তে সৈন্য সংখ্যা বাড়ছে ইসরায়েলি বাহিনীর। সীমান্ত এলাকাজুড়ে আগে থেকেই সেনা মোতায়েন ছিল। কিন্তু সম্ভাব্য নিরাপত্তা ঝুঁকির কথা মাথায় রেখে সেনার সংখ্যা দ্বিগুণ করেছে তেল আবিব। সম্প্রতি জর্ডানকে নিয়ে পরিকল্পনা পেশ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপরই জর্ডানকে ঘিরে ইসরায়েলের নীলনকশার খবর সামনে আসতে থাকে।

নানা অজুহাতে প্রতিবেশী দেশে হামলা চালাতে জুড়ি নেই ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর। এর আগে সুযোগ বুঝে সিরিয়ায়ও ঢুকে পড়েছিল ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। লেবাননেও বিশৃঙ্খলার সুযোগে দেশটির বিশাল অঞ্চলজুড়ে আসন জমিয়ে বসেছে তারা। এবার নেতানিয়াহুর নজর জর্ডানের দিকে।

ইসরায়েলি গণমাধ্যম চ্যানেল টুয়েলভের বরাতে মিডলইস্ট মনিটর বলছে, জর্ডান সীমান্তে সেনা দ্বিগুণ করেছেন নেতানিয়াহু। বলা হচ্ছে, নিজেদের পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ ও মাদকের চোরাচালান ঠেকানোই এর মূল লক্ষ্য। তবে হঠাৎ করে ৫ কোম্পানি থেকে বাড়িয়ে সৈন্য ১০ কোম্পানি করায় ইসরায়েলের অভিসন্ধি নিয়ে প্রশ্ন জেগেছে। বিশেষ করে জর্ডানে ফিলিস্তিনিদের ঠেলে পাঠানোর প্রস্তাবের মধ্যেই এমন ঘটনা সন্দেহ তৈরি করছে।

জর্ডানও ইরানের প্রভাব বলয়ের অংশ বলে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছে ইসরায়েল। তেল আবিবের দাবি, এই সীমান্তে চোরাচালানের পেছনে ইরানেরই হাত রয়েছে। আবার সীমান্ত এলাকায় ইসরায়েল বিরোধী মনোভাবও প্রবল। গেল বছরই এমন কয়েকটি ঘটনায় ইসরায়েলি কয়েক জন সেনা প্রাণ হারান। গেল সেপ্টেম্বরে সীমান্ত এলাকায় গিয়ে নেতানিয়াহু জোর গলায় বলেছিলেন জর্ডান সীমান্তে শক্তিশালী প্রাচীর তৈরি করা হবে।

মার্কিন বাহিনীর উপস্থিতি থাকলেও জর্ডান নিয়ে অস্বস্তিতে ভুগছে ইসরায়েল। একবার জর্ডান নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে ফিলিস্তিনিদের ঠেলে পাঠাতে পারলে গাজা ও পশ্চিম তীরের ওপর ইসরায়েলের নিরঙ্কুশ আধিপত্য প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে। এসব বিষয় মাথায় রেখে জর্ডান ঘিরে নতুন পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন নেতানিয়াহু। যেন এভাবেই ধীরে ধীরে গ্রেটার ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার পথ খুলতে চান তিনি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মোহাম্মদপুরে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলিতে দুজনের মৃত্যু

তারেক রহমানকে নিয়ে বইয়ের মোড়ক উন্মোচন

‘সীমান্তে হত্যা কোনোভাবেই ন্যায্য নয়, একতরফা সিদ্ধান্তে বেড়া স্থাপন’

‘একটা মুনাফেকি ছাত্র সংগঠনের নেতারা আন্ডারগ্রাউন্ড রাজনীতির সঙ্গে জড়িত’

বিজিবির বাধার মুখে বাঙ্কার সরিয়ে নিল বিএসএফ

বিয়ের বাজার শেষে ফেরার পথে বর নিহত

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘অন ক্যাম্পাস অনার্স প্রোগ্রাম’ বন্ধের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

হার দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু পাকিস্তানের

বিএনপি নেতাকে গুলি করে হত্যা, আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার

‘সাধুসঙ্গ হওয়া খুব জরুরি, না হলে বিলুপ্ত হয়ে যাবে’ 

১০

শেকৃবিতে শিবিরের প্রকাশনা উৎসব বন্ধের নির্দেশ

১১

ছাত্রলীগ নেতা হাসনাত গ্রেপ্তার

১২

ববিতে নিরাপত্তার স্বার্থে সন্ধ্যার পর বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ

১৩

‘শিশু শিক্ষার্থীদের সামনে দেশের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে’

১৪

অপপ্রচার ঠেকাতে ইসির পাশে মার্কিন প্রতিষ্ঠান

১৫

‘এককভাবে কেউই দেশের নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না’

১৬

রংপুরে নদীকে বিল বানিয়ে ইজারা : বেলার লিগ্যাল নোটিশ

১৭

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫ / দুবাইয়ের পিচ কেমন হবে, ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচে কারা সুবিধা পাবে?

১৮

নতুন নজরদারি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র উন্মোচন করল ইরান

১৯

এনসিটিবি’র রাখাল রাহার অপসারণ দাবি ১৫০ আলেমের

২০
X