ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠী ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা নতুন করে বড় ধরনের হামলার হুমকি দিয়েছে। তারা বলেছে, যদি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক উচ্ছেদের চেষ্টা করে, তাহলে ইয়েমেনের হুথিরা তাৎক্ষণিকভাবে শত্রুদের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেবে।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) হুথিদের নেতা আব্দুল মালিক আল-হুথি টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে ওই হুমকি দেন।
গাজায় ১৫ মাসব্যাপী বিধ্বংসী যুদ্ধের পর গত ১৯ জানুয়ারি ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। কিন্তু পারস্পরিক শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগে দুটি পক্ষ উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় করছে। ফলে এই সপ্তাহে যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ার কাছাকাছি বলে মনে হচ্ছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের স্থায়ীভাবে উচ্ছেদ করার এবং উপত্যকাটিকে মনোরম সমুদ্রসৈকতে পরিণত করার পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছেন। এতে আরব বিশ্ব ক্ষুব্ধ।
এ পরিস্থিতিতে হুথিদের নেতা বলেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল জোরপূর্বক গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে, তাহলে তার দল ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে শত্রুদের ওপর হামলা করবে। আগের মতো ইসরায়েলে হামলা ছাড়াও লোহিত সাগরে চলাচলকারী জাহাজেও আক্রমণ হবে।
তিনি বলেন, অপরাধী ট্রাম্প যদি তার হুমকি বাস্তবায়ন করে, তাহলে আমি সমস্ত সশস্ত্র বাহিনীকে সামরিক হস্তক্ষেপের জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।
হুথিরা উত্তর ইয়েমেনকে নিয়ন্ত্রণ করে। ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াইরত ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ইয়েমেনের উপকূলে হুথিরা ১০০টিরও বেশি জাহাজে হামলা চালিয়েছে। এ হামলা বিশ্বব্যাপী জাহাজ চলাচল ব্যাহত করেছে এবং রুট পরিবর্তন ও ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
এরপর গত বছরের শেষ দিকে ইসরায়েল ভূখণ্ডে ব্যাপক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে হুথিরা। ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রায় সব ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন আটকে দেয়। তবুও কয়েকটি এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি হয়। জবাবে ইসরায়েল সীমান্তবর্তী হুথিদের ঘাঁটিতে বিমান হামলা চালায়।
অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা হুথিদের স্থাপনায় নিয়মিত হামলা করে আসছে। বলা হচ্ছে, লোহিত সাগরে নিরাপদ জাহাজ চলাচলে এ ব্যবস্থা নিতে চায় তারা।
মন্তব্য করুন